কানাডায় খলিস্তানিপন্থীদের ভারত 'টার্গেট' করছে বলে দাবি করল জাস্টিন ট্রুডো সরকার। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই কাজের জন্য সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে বিশেষভাবে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নাম করেছে কানাডা পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'আমার বিশ্বাস, ভারত সরকারের এজেন্টদের ওই গ্যাংয়ের যোগ আছে।' আরও একধাপ এগিয়ে কানাডা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ভারতীয় এজেন্টদের সঙ্গে কানাডায় ঘটে চলা হত্যা এবং তোলাবাজির মতো 'হিংস্র অপরাধের' যোগসূত্র মিলেছে। যদিও ভারতীয় সময় অনুযায়ী গভীর রাতে কানাডার তরফে সেই অভিযোগ তোলার পরে নয়াদিল্লির তরꦉফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। নয়া অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা না হলেও ভারত বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এরকম কাজের সঙ্গে ভারতের কোনও যোগ নেই। ট্রুডো সরকার নিজের খলিস্তানি ভোটব্য়াঙ্ককে তোল্লাই দিতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে বলে সাফ করে দিয়ে এসেছে নয়াদিল্লি।
ট্রুডোর মুখোশ খুললেন কানাডারই সাংবাদিক
আর শুধু ভারত নয়, কানাডার লোকজনই ট্রুডো💙 সরকারের সেই খলিস্তানি 'প্রেমে' বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। ভারত এবং কানাডꦺার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছে, তখন কানাডিয়ান সাংবাদিক ড্যানিয়েল ব্রডম্যান দাবি করেছেন, ট্রুডো সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেভাবে উগ্রপন্থীদের খোলাখুলি সমর্থন করা হচ্ছে, সেটার বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
খলিস্তানিদের বাড়বাড়ন্তের প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে ভারত সরকার যা বলছে, সেটার প্রতিধ্বনি শোনা যায় অনেক কানাডিয়ানের গল🐓াতেও। আইন মেনে চলা এবং দেশপ্রেমিক কানাডিয়ানদের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আর উগ্রপন্থীদের একেবারে তুলোয় মুড়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই কানাডিয়ান সাংবাদিক।
ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি ট্রুডোর?
যদিও নির্বাচনের নিজের ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে সেইসব অভিযোগে ট্রুডো কোনও ভ্রূক্ষেপ করতে রাজি নন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ভারতের দিকে আঙুল তুলে সোমবার (কানাডার সময় অনুযায়ী) তিনি বলেন, ‘কানাডার মাটিতে কানাডিয়ানদের বিরুদ্ধে এটা স্পষ্ট যে ভারত একটা মৌলিক ভুল করেছে অপরাধমূলক কাজকর্মে সমর্থন জোগানোর কাজ করে যেতে পারবে ব🎃লে ভারত যেটা ভেবেছিল, সেটার মাধ্যমে যে মৌলিক ভুল করেছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
তিনি সেই মন্তব🅷্য করেছেন, যখন খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের খুনের ঘটনায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার এবং কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ করা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের কাছে এমন কোনও তথ্য থাকতে পারে, যা জঙ্গির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করেছে কানাডা। ওযে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত। কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জীব বর্মা-সহ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে ফিরিয়ে আনছে। সেইসঙ্গে কানাডার ছয় কূটনীতিবিদকে ভারত থেকে বের করে দিয়েছে।
প্রমাণ কই? কানাডাকে প্রশ্ন কূটনীতিবিদদের
সেই পুরো বিষয়টি এক শীর্ষ কূটনীতিবিদ প্রশ্ন তুলেছেন, যদি নিজ্জরের বিষয়টি এতই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে থাকে, তাহলে খলিস্তানি টাইগার ফোর্সের জঙ্গির হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের যোগ থাকা নিয়ে🐠 নয়াদিল্লিকে কেন কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি কানাডা সরকার?