গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে অনেকই এককালীন ব্যয়ের বোঝা কমানোর জন্য কার লোনের পথে হাঁটেন। গাড়ি ঋণের মেয়াদ সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছরের হয়। এর ফলে লম্বা সময় ধরে গাড়ি কেনার খরচটা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। টাকা জমিয়ে ৫ বছর বাদে গাড়ি কেনার তুলনায় এটি ভাল অপশন। কিন্তু, এটা মনে রাখা꧃ গুরুত্বপূর্ণ যে, অনেকে আরও কম EMI-এর আশায় অনেক লম্বা মেয়াদের ঋণ করে ফেলেন। কিছু ঋণদাতা তো এখন ৭ বছর পর্যন্ত এক্সটেন্ডেড মেয়াদ অফার করে। দীর্ঘতর ঋণে EMI কমতে পারে। কিন্তু উল্টে আপনার সুদবাবদ অনেক বেﷺশি খরচ হয়ে যাবে। ফলে এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
লম্বা সময়ের গাড়ি ঋণ নিলে সমান মাসিক কিস্তির (EMIs) অঙ্ক হ্রাস পাবে। ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে EMI কমানো হলে গাড়🎃ি মাসিক বাজেটের মধ্যেও এসে যাবে। বিশেষত যাঁদের মাসিক আয় তুলনামূলকভাবে কম, অথবা শখের কারণে আরেকটু দামি গাড়ি কিনতে চাইছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি সুবিধাজনক হতে পারে। কিন্তু EMI যতটা সম্ভব বাড়িয়ে মেয়াদ কমিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ছোট EMI-তে মাসিক সুবিধা হতে পারে। কিন্তু লম্বা মেয়াদের কারণে আরও বেশি বেশি সুদ দিতে হবে। তাই আপনার গাড়ির দামের উপর কত টাকা সুদ দিতে হচ্ছে, তা হিসাব করে নেওয়াটা অ🤡ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধরুন কোনও ব্যাঙ্কে ৯% সুদের হার। আপনি ৯% সুদে ১৫,০০,ꦡ০০০ টাকার একটি কার লোন নিয়েছেন।
আপনি যদি ৩ বছরের মেয়াদের ঋণ নেন, তাহলে আপনার মাসিক পেমেন্ট প্রায় ৪৮,২৪৭ টাকায় দাঁড়াবে। ফলে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭,৩৫,২৯২ টাকা।🥃
কিন্তু, আপনি যদি ৭ বছরের ঋণ নেন, মাসিক পেমেন্ট প্রায় ২৩,৩২৮ টাকা কমে যাবে। ফলে কেউ যদি ৬০,০০০ টাকা বেতন পান, তিনি চাইলেই ১৫ লক্ষ টাকার গাড়িটি কিনে নিতে পারবেন। কিন্তু সেটি করলেই ভুল হবে। কারণ মোট টাকার অঙ্কও বেড়ে প্রায় ১৯,৫১,৫৩৬ টাকায় দাঁড়াবে। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা শুধুমাত্র সুদ হিসাবেই দিতে হবে। তাই এমন পরিস্থিতিতে মেয়াদ না বাড়িয়ে, আরও একটু কম দামের গাড়ির অপশন দেখাটাই শ্রেয়। আর সেই জন্যই পড়ুন এই প্রতিবেদন: টাটা থেকে মারুতি, মধ্যবিত্তের🌼 বাজেটের মধ্যেই পাবেন এই ৫টি গাড়ি