বাংলাদেশে ফের এক হিন্দু বাড়িতে চলল হামলা। এবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। এই উপজেলার কামারিয়া 💧গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সঙ্গে চলে ✱দেদার লুটপাট। শৈলকুপা থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মুনতাসিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জানিয়েছেন সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর ধলহরাচন্দ্র🐷 ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রতনচন্দ্র কুন্ডু নামক এক ব্যক্তি শৈলকুপা থানায় অভিযোগ জানান। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মোট ৩২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে বেশি কিছুটা দূরে। বগুড়া এবং রত্নাট গ্রাম যা কামারিয়🌱া থেকে প্রায় ছয় সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেখানেই অভিযুক্তরা সকলে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হচ্ছেন বগুড়া ইউনিয়নের পরিষদ মো. ফরিদ মুন্সি। থানায় রতনচন্দ্র কুন্ডু জানিয়েছেন, হামলাকারীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে সেদিন গ্রামে ঢুকেছিল। গ্রামের এক চা বিক্রেতা দেব কুমারের কাছে তারা চাঁদা হিসেবে তিন লাখ টাকা চায়। দেব কুমার তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ🧜রপর একজন সার ব্যবসায়ী বিকাশ মণ্ডল লাঙ্গলবাঁধ বাজার থেকে ফিরছিলেন, তখন তাঁর থেকে এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতিরা। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর সেই ব্যবসায়ীকে হামলাকারীরা মারধরও করে। তারপর তারা একে এক বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে লুটপাট শুরু করে। সোনার গয়না থেকে নগদ টাকা যা পায় তাই হাতিয়ে নেয়।
রতনচন্দ্র কুন্ডু গোটা ঘটনার বিষয়ে জানান একদল দুষ্কৃতি প্রায়শই এভাবে ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚগ্রামে এসে হামলা চালায়। চাঁদার দাবি করে। আর চাঁদা না দিলেই মারধর শুরু করে। এই ঘটনার পর ঝিনাইদহের আওয়ামী লিগের সভাপতি এবং সংসদ আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে যান। তিনি আশ্বাস এবং ভীত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তদের। থানার তরফে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কেসটি দেখছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
এই ঘটনার ঠিক একদিন আগেই কামারিয়া গ্রামে একদল 👍দুষ্কৃতি আটটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়। ভাংচুর করার পাশাপাশি লুটপাট করে। এই ঘট🥃নায় মোট ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, এই তালিকায় রয়েছে মহিলারাও।