এনসিবির প্রাক্তন জোনাল হেড সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। এবং সেই তদন্ত থেকে উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। এই সমীর ওয়া𒁏ংখেড়েই মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। তদন্ত নিয়ে সমীর বলেছেন, 'আমার দেশপ্রেমের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।' তবে সিবিআই দাবি করেছে, ওয়াংখেড়ে এবং এনসিবির প্রাক্তন কর্তা আশিস রঞ্জনের অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং দুর্নীতিমূলক আচরণের তদন্ত করছে তারা। এই আধিকারিকদের আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির হিসেবে গরমিল রয়েছে। এদিকে সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশ যাত্রার বিষয়ে সব সত্যি কথা জানাননি অফিসে।ಞ এমনকী বিদেশ যাত্রার খরচ সম্পর্কেও অফিসে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে সিবিআই-এর এফআইআর থেকে জানা যাচ্ছে, সমীর ওয়াংখেড়ে নাকি ভাইরাল রঞ্জন নামক এ🌊ক ব্যক্তিকে দামী দামী ঘড়ি বিক্রি করেছেন। তিনি সেই বিষয়ে নিজের দফতরকে জানাননি। এই আবহে সেই ঘড়ির উৎস কী এবং এই ঘড়ি সমীর নিজে কিনে থাকলে সে টাকা তিনি কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এই সবের সঙ্গে দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে দাবি করছে সিবিআই। শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মামলার সঙ্গে যুক্ত নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর অপর এক অপসারিত কর্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে সিবিআই। তাঁর নাম বিশ্ব বিজয় সিং। তিনি এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক ছিলেন। ২০২১ সালে কর্ডেলিয়া ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালানো কর্তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি দিল্লি, মুম্বই, কানপুর, রাঁচি সমেত একাধিক জায়গায় এই দুর্নীতি কাণ্ডে তল্লাশি চলেছে। তল্লাশি প্রসঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ে বলেছিলেন, '১৮ জন সিবিআই অফিসার আমার বাড়ি তল্লাশি চালান। ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলেছে। আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরাও তখন বাড়িতে ছিল। সিবিআই কর্তারা ২৩ হাজার টাকা ও চারটি সম্পত্তির কাগজের হদিশ পেয়েছে🐓ন তল্লাশিতে। এই সম্পত্তি আমার পদে যোগের আগে থেকেই আমার কাছে ছিল।' প্রসঙ্গত, আরিয়ান মামলায় বিতর্কের পরে সমীর ওয়াংখেড়েকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল চেন্নাইতে। সেখানে তিনি আয়কর দফতরের কম গুরুไত্বপূর্ণ পদে যোগ দিয়েছিলেন। আর এখন সিবিআই তদন্তে উঠে আসছে সমীরের বিরুদ্ধে নয়া নয়া অভিযোগ।