স্থানীয় এবং বিদেশি বিপিও-র পার্থক্য মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এর ফলে এবার যেসব বিপিও টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসের সঙ্গে যুক্তবিপিওগুলি দেশের পাশাপাশি বিদেশের গ্রাহকদেরও পরিষেবা দিতে পারবে। তাছাড়া বিপিওদের তথ্য আদানপ্রদান এবং সংরক্ষণের নীতিও উদাꦏর করা হয়েছে। যার ফলে দেশে আরও বেশি সংখ্যক বিপিও কাজ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইটি শিল্প, বিশেষত বিজনেস প্রোসেস আউটসোর্সিং এবং আইটি এনেবেল্ড সার্ভিসেস-এর ক্ষেত্রে 'ইজ অফ ডুইং বিজনেস' বা ব্যবসায়িক স্বাচ্ছন্দ্যের উন্নয়নের জন্যেই এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি ভারতকে বিশ্বের অন্যতম আইটি হাব হিসেবে গড়ে তোলার উচ্চাকাঙ্খা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এদিন অন্যান্য টেলিকম পরিষেবা প্রদা𝓀নকারী ও 'ওএসপি' সংক্রান্ত নির্দেশিকা শিথিলেরও সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এদিকে এই নয়া নীতির ফলে বিপিওগুলি EPBAX এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে কল 'রি-রুট' করতে পারবেন। তাছাড়া যেসব ওএসপি এর আগে EPBAX এক্সচেঞ্জ ব্যবহার করছিল না, তারাও ভারতে যেকোনও স্থানে থার্ড পার্টি সেন্টারে তা লোকেট করে কাজ করতে পারবে। এই নতুন নীতি ভারতের আইটি শ্ল্পকে দারুণ ভাবে সাহায্য করবে এবং ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য কবে বলে আশা কেন্দ্রের। পাশাপাশি এই নীতির ফলে ভারত বিশ্বের অন্যতম প্র🅺তিযোগিতামূলক তথ্য প্রযুক্তি গন্তব্যে পরিণত হবে বলেও আশা কেন্দ্রের।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'এই বদল যুগান্তকারী। আমরা ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছি। এই নয়া যুগান্তকারী নীতির ফলে ভারত বিপিও সেন্টার স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি অনুকূল গন্তব্যে পরিণত হবে।' এই নয়া নীতির ফলে দেশের ছোট ছোট শহরগুলিতে🐭 কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা কেন্দ্রের। উল্লেখ্য, আইটি এবং বিপিও সেক্টরকে ভারতে বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম বড় শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি এই নয়া নীতির ফলে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি শিল্📖প আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে বলে আশা।