রাজ্যগুলোকে করোনার ওষুধের কালোবাজারি ‘নির্দয়ভাবে’ দমন করতে বলল কেন্দ্র। করোনায় ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি ও মজুতদারি রুখতে রাজ্যগুলোকে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্র🐓। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হলফনামায় কেন্দ্র সমস্ত রাজ্যকে এই গুরুতর অপরাধ রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফ🔯নামায় কেন্দ্র আরও বলেছে, করোনাকালে ওষুধ মজুতদারি ও কালোবাজারি নির্দয়ভাবে দমন করতে হবে। যেহেতু আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, সেজন্য সমস্ত রাজ্য সরকারকে💝 অবশ্যই রাজ্য, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিশেষ দল গঠন করতে হবে।পাশাপাশি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে, মানুষের দুর্দশা নিয়ে ব্যবসা করা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না।
আদালতে দায়ের করা হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে যে, ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ (ডিসিজিআই) সমস্ত কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে(এসডিসি) জানিয়েছিল যে, কোনও ধরণের মজুতদারি বা কালোবাজারির ক্ষেত্রে তাদের অসহিষ্ণু থাকা উচিত। এছাডꦕ়াও এই ধরনের অভিযুক্তদের ওপর কড়া নজরদারি রেখে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতেও আবেদন জানিয়েছিল তারা।
হলফনামায়, রাজ্যগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, কালোবাজারি বা ওষুধ মজুতদারি রুখতে তারা যেন অবিলম্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, ড্রাগ ও কসমেটিকস আইন ১৯৪০, অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটিস আইন —সহ অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়। এছাড়াও কালোবাজারি রুখতে মূলত পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে যকঠোরভাবে মোকা🙈বিলা করা হয়, সেই বিষয়ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, দেশজুড়ে এই ধরনের ১৫৭ টি মামলায় আইনি পদক্ষ🌸েপ নেওয়া হয়েছে, ঘটনার এফআইআর দায়ের করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহামারি চলাকালীন প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ ও 🍸পরিষেবা বিতরণ নিশ্চিত করতে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুরের নের্তৃত্বাধীন বেঞ্চে। গত ৩০ এপ্রিল মামলার শুনানি চলাকালীন কালোবাজারির বিষয়টি উঠে আসে।
সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেছিল যে, মানুষের এই অসহায়তা থেকে লাভ বা লাভের জন্য শোষণ করা অত্যান্ত জঘন্য প্রচেষ্টা। সেক্ষেত্রে করোনার ওষুধ ও অক্সিজেনের কালোবাজারি রোধ করতে অপরাধীদের সনাক্ত ও বিচারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠনের বিব𒐪েচনা করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালত আরও উল্লেখ করেছিল যে, রেমডেসিভ🐈ির ও টোকিলিজুমাভের মতো বেশ কয়েকটি ওষুধ চড়া দামে বা জাল বিক্রি করা হচ্ছে।