বিশ্বভারতীর সমস্যা মেটাতে এবার হস্তক্ষেপ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা ꦆকরতে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। উল্লেখ্য, গত ২৮ অগস্ট থেকেই পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেছে। তিন পড়ুয়াকে রাস্টিকেট করার প্রতিবাদেই শুরু হয় এইﷺ আন্দোলন।
এদিকে চলতি আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যাম্পাস। যদিও আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। আধিকারিকের কথায়, 'কেন্দ্র𝄹ীয় মন্ত্রী উপাচার্যকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকবেন। তাঁরা যাতে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে।'
পাশাপাশি কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে যাতে অবিলম্বে প্রফেসরদের বেতন দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফে। যে সব পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তাও অতিশীঘ্র প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিব অমিত খ🍸াড়ে কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীর সঙ্গেও।
গত এক বছরে ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া, অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্র ও সঙ্গীত ভবনের এক ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান মঞ্চ তৈরি করে ঘেরাও করে রাখা ℱহয়েছে উপাচার্যকে। এদিকে, ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন না বলে প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তারপরেই উপাচার্যকে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এরই মাঝে গতকাল নাকি উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েন।