আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। অভিযুক্তের শাস্তি এবং নিরাপত্তার দাবিতে জোরদার আন্দোলন করছে নাগরিক সমাজ। চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় আইন আনার দাবি জানিয়েছেন। সেই আবহ꧋ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমোদন দিল৷ স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সব হাসপাতালে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বাড়ানো হবে। কেন্দ্রের হাসপাতালগুলিতে মার্শালদের মোতায়েন করা হবে🥂। এছাড়াও, বেশি করে সিসিটিভি ও অন্যান্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক শ্মশানের ম্যানেজার, আরজি করের চিকিৎসকের শেষকৃত্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প🧸্রশ্ন
যদিও চিকিৎসকদের দাবি ছিল, তাদের নিরাপত্তার জন্য আলাদা আইন আনতে হবে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, আরজি কর মামলার উপর ভিত্তি করে একটি কেন্দ্রীয় আইন আনলে কোনও বড় পার্থক্য হবে না। কারণ জুনিয়র ♏ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা নয়। পশ্চিমবঙ্গ, উ๊ত্তরাখণ্ড, দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, আসাম, কর্ণাটক এবং কেরল সহ ২৬ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আইন রয়েছে। এই সমস্ত রাজ্যে এই অপরাধগুলি অজামিনযোগ্য।
চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে ঠিক হয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস-এর সভাপ♊তিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং ডাক্তারদের সুবিধার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হবে। যার মধ্যে ডিউটি রুম, কাজের সময় এবং শর্ত ও ক্যান্টিন পরিষেবাগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জানিয়েছে।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এবিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানায়। 🅠যার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসা রোধ ও মোকাবেলা করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন আনা এবং বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা। তারপরই কেন্দ্রের তরফে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।