ঋদিমা কউল
মজুত রয়েছে পর্যাপ্ত টিকা। এই পরিস্থিতিতে এখনই আর টিকা প্♚রস্তুতকারক সংস্থাগুলির থেকে টিকা কিনছে না কেন্দ্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্তা সোমবার এই কথা জানান হিন্দুꦓস্তান টাইমসকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের শীর্ষ স্থানীয় এক আধিকারিক বলেন, ‘সারা দেশে এখনও ভ্যাকসিনের প্রায় ২০ কোটি ডোজ পড়ে রয়েছে যেগুলি এখনও ব্যবহার করা হয়নি। তাই সরকার এখন নতুন করে আর টিকা সংগ্রহ করছে না।’
সরকারি হিসেবে এখন টিকার ১৯.১ কোটি ডোজ মজুত রয়েছে দেশে। এখনও পর্যন্ত সরকার বিনামূল্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৯৩ কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৫ টিকার ডোজ সরবরাহ কর𝔍েছে। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি দেশে করোনা প্রতিরোধক টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এই টিকাগুলি পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। জাতীয় কোভিড ইমিউনাইজেশন ড্রাইভের আওতায় বর্তমানে কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড এবং করবেভ্যাক্স টিকা দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন: আছে নদী থেকে সমুদ্র, মিলল পৃথিবীর ‘কার্বন কপি’! কোন রহস্য লুকিয়ে শনির চাঁদে?
এদিকে শীঘ্রই বেসরকারি ক্ষেত্রকে সরাসরি টিকা কেনার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই টিকা কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করিয়েই নিতে꧂ হবে। জানা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরাসরি কোভোভ্যাক্স টিকা কেনার অনুমতি দিতে চলেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল ন্যাশানাল টেকনিকাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের মধ্যে এই টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল। ড্রাগ অথরিটির বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল কোভোভ্যাক্সকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছিল। সেই তথ্য পর্যালোচনা করেই এই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় এনটিএজিআই। সূত্রের খবর, কোভোভ🌳্যাক্সের একটি ডোজের দাম ৯০০ টাকা হতে পারে। এর উপর আলাদা করে জিএসটি ধার্য করা হবে। এবং হাসপাতাল পরিষেবা বাবদ ১৫০ টাকাও চার্জ করা হবে।