গত মার্চ থেকে রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মোটানো হয়🍸নি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আবারও সেই ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা মেটানোর বিষয়ে ঝুলিয়ে রাখল ꧃কেন্দ্র।
করোনা সংকটের কারণে অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে রাজ্যগুলির জিএসটি বাবদ আয় কমেছে। জিএসটি আইন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর ꦇপর্যন্ত রাজ্যগুলির যে পরিমাণ কর আদায় হবে, তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। সিগারেট, অটোমাবাইল, কয়লা, বিলাসবহুল পণ্য ইত্যাদির উপর যে সেস চাপানো হয়, সেই আয়ের তহবিল থেকেই সেই ক্ষতিপূরণ মেটানো হয়। কিন্তু সেই তহবিলের অবস্থা শোচনীয়। তার জেরে গত মার্চ থেকে রাজ্যগুলিক♏ে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ একটা কানাকড়িও মেটায়নি কেন্দ্র।
তবে শুধু এবার নয়, আগের দফায় একইভাবে দীর্ঘদিন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি ঝুলে ছিল। তা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি। তাদের বিস্তর অভিযোগের পর গত ৪ জুন তিন মাস অর্থাৎ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির ক্ষতিপূরণ মেটানো হয়েছিল। সবমিলি♕য়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৬,৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র।  ⛄;
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অবশ্য জানিয়েছেন, সদস্যের অ🔥নুরোধের ভিত্তিতে আগামী জুলাইয়ে শুধুমাত্র জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যগুলির পাওনার বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবে জিএসটি কাউন্সিল। তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যগুলিকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা, যদিও বা দেওয়া হয়, তাতে ধার করার পরিস্থিতি হয়। কীভাবে এবং কে সেই অর্থ মেটাবে।’
তবে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলির কোষাগারের হাঁড়ির হাল, স্বাস্থ্য খাতে বাড়তি টাকা ঢালতে হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণের বকেয়া পাওনা না পেলে রাজ্যগুলির নাভিঃশ্বাস উঠবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পরামর্শদাতা𝐆 সংস্থা ডিভিএস অ্যাডভাইজার এএলপির প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিবাকর বিজয়সারথি বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ মেটানোর জন্য সেস অ্যাকাউন্টে ঋণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করা হয়েছিল। জিএসটি থেকে আদায় হুড়মুড়িয়ে পড়ার ফলে রাজ্যগুলির অবস্থা শোচনীয়। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিকে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কাও সামলাতে হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে গড়িমসি করার ফলে 🔯করোনাভাইরাস এবং ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে না।’
এদিকে, গত এপ্রিল এবং মে মাসে জিএসটি বাবদ কত টাকা আয় হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি নর্থব্লক। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনার আগে জিএসটি বাবদ যে টাকা আদায় হত, এপ্রিল এবং মে'র মাসিক আয় তার অর্ধেকেরও কম হতে পারে। গত মার্চে জিএসটি বাবদ আয় হয়েছিল ৯৭,৫৯৭ কোটি টাকা। তার আগে গত বছর নভেম্বর থꦕেকে টানা চার মাস জিএসটি আদায় এক লাখ কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত ১ এপ্রিল থেকে রাজস্ব আয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে অস্বী꧋কার করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও ছোটো করদাতা এবཧং ছোটো ব্যবসার ক্ষেত্রে শুক্রবার কিছুটা সুরাহা দিয়েছে জিএসটি কাউন্স♓িল। যে করদাতারা ২০১৭ সালের জুলাই এবং চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে নিজেদের রিটার্ন ফাইল করতে পারেননি, তাঁরা ৫০০ টাকা লেট ফি জমা দিয়ে তা করতে পারবেন। যাঁদের কর দিতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে সেই লেট ফি'র মাত্রা কমানো হয়েছে। তবে যাঁদের কর দিতে হয় না, তাঁরা এখন রিটার্ন ফাইল করলেও কোনও জরিমানা গুনতে হবে না।
করোনা পূর্ববর্তী সময়ের পাশাপাশি মহামারীর সময়েও বিভিন্ন সুরাহা দেওয়া হয়েছে। যে ছোটো ব্যবসার টার্নওভার পাঁচ কোটি টাকার মধ্যে, সেগুলির ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনে সুদের হার অর্ধেক করা হয়েছে। করোনা ෴পরিস্থিতির কারণে যে ছোটো করদাতারা গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিলের রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত কোনও সুদ দিতে হবে না। তারপর নয় শতাংশ দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যভাবে বলতে গেলে নির্দিষ্ট তারিখ পর্যন্ত ছোটো করদাতাদের কোনও সুদ দিꦬতে হবে না। জুলাই পর্যন্ত তাঁদের কিছু চিন্তা করতে হবে না। তাঁদের লেট ফি দিতে হবে। তবে তারপর ১৮ শতাংশের পরিবর্তে নয় শতাংশ (লেট ফি) ধার্য হবে। অর্থাৎ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ছোটো করদাতাদের জন্য) কম সুদের হার কার্যকর হবে।’ একইসঙ্গে মে, জুন, জুলাইয়ের কর রিটার্ন যদি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়া হয়, তাহলে লেট ফির'র ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে।
পাশাপাশি, যে🙈 জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে গেলেও তা ফের সচল করার সুযোগও দিয়েছে কাউন্সিল। সীতারামন বলেন, ‘যে করদাতারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাতিল হয়ে যাওয়া জিএসটি রেজিস্ট্রেশন চালু করতে পাননি, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের বাতিল রেজিস্ট্রেশন চালু করার জন্য আবেদনপত্র পূরণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই গত ১২ জুন পর্যন্ত বাতিল রেজিস্ট্রশনের ক্ষেত্রে (এই সুযোগ মিলবে)।’