করোনা মোকাবিলার অত্যাবশকীয় ওষুধ ও অন্যান্য দ্রব্যাদির জিএসটি (GST) ছাড়ের ঘোষণা হতে পারে। সূত্রের খবর, প্রান্তিক ব্যবহারকারীর হাতে পৌঁছাচ্ছে, এমন কোভিড মোকাবিলার দ্রব্যাদির ক্ষেত্রে জিএসটি-তে ছাড় দেওয়া হবে।করোনার মোকাবিলার জরুরী সামগ্রী, যেমন মাস্ক-পিপিই কিট, ওষুধ, টিকা ইত্যাদিকে জিএসটি-মুক্ত রাখার আর্জি জানিয়েছে একাধিক রাজ্য সরকার। এই আর্জি পেশ করা হতে পারে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে। প্রায় সাত মাস পর আগামী শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবে জিএসটি কাউন্সিল।তবে, এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিকের কথায়, 'প্রান্তিক ব্যবহারকারীর সার্টিফিকেশন প্রয়োজন। তবেই করমুক্ত করোনা মোকাবিলার কাজেই সঠিক স্থানে পৌঁছচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করা সম্ভব।'পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য করোনা মোকাবিলার সামগ্রীতে জিএসটি মকুবের আর্জি জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র মঙ্গলবার এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জির কথা আরও একবার তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, 'কাউন্সিলের কাছে আমার অনুরোধ, কোভিড মোকাবিলার সামগ্রী, ওষুধ, টিকা ইত্যাদি সামগ্রীকে করমুক্ত করা হোক। এর ফলে ক্রেতাদের একটু সুবিধা হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে ই-মেল-এ প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও উত্তর মেলেনি।তবে গত ৯ মে এই বিষয়েই আলোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই সময়ে করোনা মোকাবিলার সামগ্রীতে জিএসটি তোলার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে বলে জানান তিনি। নির্মলা বলেন, 'এন্ড প্রোডাক্টে (যা ক্রেতাদের হাতে যাচ্ছ বা বিক্রি হচ্ছে) যদি শুধু জিএসটি তুলে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সেই জিনিসটা তৈরির পুরো যে প্রক্রিয়াটা, তার সব ধাপেই করের হিসাব উলটেপালটে যাবে।'নির্মলা জানান, কোনও দ্রব্য উত্পাদনের সময়ে উত্পাদনকারী ব্যক্তি বা সংস্থা কর দেন। কিন্তু সেটি বিক্রির সময়ে যদি জিএসটি না থাকে, সেক্ষেত্রে দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে নিজের করের বোঝা সামাল দেবেন উত্পাদনকারী। এতে শেষমেষ জিনিসের দাম আরও বেড়ে যাবে। করোনা টিকায় এই মুহূর্তে ৫% জিএসটি। করোনার বিভিন্ন ওষুধ ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরে ১২% জিএসটি।