এতদিন যে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, বড়দিনে তা মোটামুটি সবই বলে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ষড়যন্ত্রের যুক্তি খাড়া করার মধ্যেই জানালেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষক আইন বিরোধী নিয়ে যে কারও সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি কেন্দ্র। তবে তথ্য এবং যুক্তির ভিত্তিতে আলোচনা করতে হবে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধি প্রকল্পের কিস্তির অর্থ বিলির অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন মোদী। সেই অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেশের ন'কোটি কৃষক পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক কিস্তির ২,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। কৃষকদের সঙ্গে আলাপচারিতার পাশাপাশি নিজের ভাষণের অধিকাংশ সময় মোদী দাবি করেন, রাজনৈতিক স্বার্থে দেশের কৃষকদের একাংশকে ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু আখেরে নয়া কৃষি আইনের ফলে কৃষকদের লাভ হচ্ছে বলে দাবি করেন। নয়া কৃষি আইনের ফলে কৃষকদের কী কী লাভ হয়েছে, তাও জানতে চান। ভাষণের সময় আরও সুর চড়িয়ে নেন মোদী। রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে দাবি করেন, কয়েকটি দল আগে কৃষি আইনকে সমর্থন করছিল। কিন্তু ফায়দা নিতে এখন নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। সেই 'স্বার্থান্বেষী' দলগুলির কঠোর সমালোচনা করেন। এক রাজনীতিবিদ কৃষকদের 'বিভ্রান্ত করছেন' এবং বিদেশেও তাঁর 'যোগসূত্র' আছে বলে দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়, 'কয়েকটি দল আছে, যেগুলি আগে কৃষি আইনকে সমর্থন করেছিল। ওদের লিখিত বিবৃতি আছে আমাদের কাছে। কিন্তু এখন ওরা নিজেদের অবস্থান পালটে নিয়েছে। একজন রাজনীতিবিদ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। উনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। বিদেশেও ওনার যোগ আছে। উনি যা বলছেন, তা মুখেও আনতে পারব না। তা সত্ত্বেও আমি বিনম্রতার সঙ্গে বলছি যে যাঁরা আমাদের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের কৃষকদের বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি আমরা। তবে নির্দিষ্ট বিষয়, তথ্য এবং যুক্তির ভিত্তিতে আলোচনা করতে হবে।'তবে 'যুক্তি'-র মাধ্যমে মোদী কী বলতে চেয়েছেন, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে, তেমনই কি ইঙ্গিত দিলেন মোদী?