তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে এক চিকিৎসকের উপর নৃশংস হামলার নিন্দা করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। সরকারের কাছে চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য 'কঠোর আইন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সক্রিয় নিরাপত্তা ব্যব🌞স্থা' দাবি করেছে।
চিঠিতে তারা বলেছে, 'সরকার যতই ড্যামেজ কন্ট্রোল এ♑ক্সারসাইজ করুক না কেন, এ দেশে ডাক্তাররা যাতে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
'এখানে কঠোর প্রতিরোধমূলক আইন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এই জঘন্য অপরাধের জন্য সমস্ত সরকারকে ন꧑জরে আনা হয়েছে। দেশের চিকিৎসা পেশা গভীরভাবে বিপর্যস্ত এবং এই ক্রমাগত হিংসার প্রতিকারমূলকཧ ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্দিহান।
হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তনই পারে চিকিৎসকদের আস্থা ফেরাতে। এর জন্👍য চিকিৎসকদের কাছে জাতি ঋꦗণী।
প্রসঙ্গত চেন্নাইয়ের কালাইনার সেন্টেনারি হ♏াসপাতালে এক রোগীর ছেলে ছুরি দিয়ে সাতবার ছুরিকাঘাত করে এক সরকারি চিকিৎসককে।
ডাঃ বালাজি জগনাথন বর্তমানে ঘাড়, কান, কপাল, পিঠ এবং পেটে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আইসꦓিইউতে তাঁর চিকিৎসা চܫলছে।
অভিযুক্ত গ্রেফতার
পুলিশ চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ভিগনেশকে গ্রেফতার করেছে, যে ডঃ বালাজির উপর হামলা চালꦆিয়েছিল। তার মা হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না এই অভিযোগ তুলে তিনি চিকিৎসকের উপর চড়াও হয়েছিলেন।
ডাঃ বালাজি সরকারী হাসপা🎃তালের ক্যান্সার ওয়ার্ডে কাজ করার সময় ঘটনাটি ঘটেছিল। হামলার পর ভিগনেশ পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন এ꧃ই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্ম൲কর্তাদের বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি হাসপাতালে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানে আমাদের সরকারি চিকিৎসকদের ন♔িঃস্বার্থ পরিশ্রম অপরিসীম। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে চিকিৎসকের উপর এই হামলার ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্য়েই সামনে এল ভয়াবহ ঘটনার কথা। চেন্নাইয়ের এক চিকিৎসককে বার♌ বার ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে এর রোগীর ছেলে। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। কেন সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে চিকিৎসকরা ফের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগ🐬ছেন। এবার আইএমএর পক্ষ থেকে এনিয়ে চিকিৎসকদের সুরক্ষার দাবি করা হয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই হামলার পেছনে আর🐟 কোনও কারণ রয়েছে কি না সে꧃টা দেখা হচ্ছে।