চিনের হাত থেকে ভারতীয় সংস্থাদের বাঁচাতে বিদেশি ল🥃গ্নি নীতি বদলেছে ভারত। কিন্তু এতেই গোঁসা বেজিংয়ের। এটিকে বৈষম্যমূলক বলে নীতি পরিবর্তন করার আর্জি জানিয়েছে চিন।
দিন দুয়েক আগেই প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির ক্ষেত্রে নিয়ম বদলেছে ভারত। এই নিয়ম প্রযোজ্য ভারতের সঙ্গে সীমানꦇ্ত আছে যে সব দেশের, তাদের সঙ্গে। সেখান থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে লগ্নির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে। এইচডিএফসিতে চিনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ১ শতাংশ শেয়ার কেনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
চিনের দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং জানিয়েছেন তারা আশা করেন ভারত এরকম বৈষম্য কর♒বে না, সব দেশ থেকে আসা লগ্নিকে একই ভাবে গ্রহণ করবে।তাঁর দাবি যে ভারতের এই নিয়ম বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার আদর্শের বিরোধী ও উদারীকরণের নীতিরও পরিপন্থী। চিনের দাবি যে জি-২০ দেশের মধ্যে যে একমত হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে যাচ্ছে ভারত।
তবে চিনের এই আপত্তি নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয় ভারত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বরিষ্ঠ কর্তা জানিয়েছেন যে এই নিয়𓂃ম বদলানোর দরকার ছিল যাতে ভারতীয় সংস্থাগুলি চিনের হাতে না চলে যায়।বিশেষত স্টার্টআপগুলি যাদের সামর্থ্য কম, তাদের চিনের সংস্থাগুলি কিনে নিচ্ছে। এ🏅টা রুখতে হতই। শুধু ভারত নয়, জি-২০-র অনেক ধনী দেশও চিনের অভিপ্রায় সম্বন্ধে অত্যন্ত সন্দিগ্ধ।
এইগুলি ফেয়ার বিজনেস প্র্যাকটিস নয়, ভারতীয় সংস্থাদের দখল করার অভিপ্রায়, তাই সরকারকে সক্রিয় হতেই হত বলে সেই কর্তা জানিয়েছেন। চিনের সংস্থাদের ভারতে আসার ওপর কোনও বাঁধা নেই, শুধু তাদের সরকারের অনুমতি নিꩲতে হবে, বলে জানান তিনি।
চিনের মুখপাত্র যদিও ভারতে তাদের দেশের সংস্থারা কতটা ভালো কাজ করছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতেও সাহায্য করছে, সেই ফিরিস্তি দিতেও ব্যস্ত✃। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।করোনার পরে বেহাল অর্থনীতিতে অনেক সংস্থার দুর্বল হালের সুযোগ নিয়ে সেগুলি চিন কিনে নেবে, এই ভয়েই কাঁটা ভারত।
শুধুꩲ লগ্নি নয়, বিদেশি হাতে মালিকানা বদলের ক্ষেত্রেও সরকারের অনুমতি লাগবে। অন্যান্য দেশের জন্যে লাগ꧂ু হলেও এর মূল টার্গেট যে চিন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।