সুতীর্থ পত্রনবীশ
চিনে কোভিড পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করে দিয়েছে। বেজিং সমেত দেশের সব কয়টি বড় শ♋হরে কোভিড ঘিরে ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ্যে আসছে। এদিকে, চিনে শুরু হয়েছে লুনার নিউইয়ারের প্রস্তুতি। সেই উপলক্ষ্যে শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছেন সেদেশের শ্রমিকরা। আর এর হাত ধরেই চꦯিনের শহরের পাশাপাশি গ্রামেও থাবা কষাচ্ছে কোভিড।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই চিনে লকডাউন বিধি শিথিল করা হয়েছে। ফলে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তার ফলেই কোভিড আরও খানিকটা বেড়ে যেতে থাকে। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। বলা হচ্ছে, চিনে কোভিড ছড়ানোর মূল কারণ ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ সেভেন। সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, চিনের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড। বহু ক্লিনিকেই কোভিডের উপসর্গ নিয়ে রোজই হাজির হচ্ছেন নানান রোগী। তাঁদের শরীরে থাকছে জ্বর। এই জ্বরের উপসর্গেই তাঁরা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। চিনে দেখা যাচ্ছে, যতই কেস বাড়ছে তা গ্রামীণ এলাকাগু🦂লিতে ছড়িয়ে পড়ছে। চিনের ‘গ্লোবাল টাইমস’ ট্যাবলয়েড এই তথ্য জানিয়েছে। মেডিসিনের কমতি, মেডিক্যাল স্টাফের কমতি সমেত একাধিক ইস্যু চিনের গ্রামগুলিতে দেখা যেতে শুরু করেছে। রিপোর্ট বলছে, এই সমস্যাগুলিই চিনে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চিনের সোশ্যাল মিডিয়া উইবো বলছে, সেদেশে প্রয়োজনীয় মেডিক্যালের সামগ্রী থেকে কর্মীর যোগা𝓡ন অনেকটাই কম। তবে মনে করা হচ্ছে, আপাতত চিনে যা পরিস্থিতি, তাতে কোভিডের প্রাদুর্ভাব চিনের গ্রামগুলিতে প্রবলভাবে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। চিনের ক্ষেত্রে যা বড় বিভ্রাটের সামিল। চিনের বহু গ্রামে হু হু করে কোভিড বেড়ে যেতে আগেও দেখা গিয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। ২০২১ সালে চিনের আদমসুমারি অনুযায়ী, সেদেশে ৫০৯.৮ মিলিয়ন গ্রামীণ জনজাতি রয়েছে। আর এই পুরো জনজাতিকে ঘিরেই কোভিড ত্রাস বাড়বাড়ন্ত।