করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের নানা দেশে৷ এরই মধ্যে বাংলাদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। ফলে বড়দিন আর বর্ষবরণ উৎসব 🐽সীমিত রাখার অনুরোধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগী🎃য় কমিশনা෴র, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে উৎসবের আয়োজন সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে৷
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকাশ্যে কোনও সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আয়োজন করাই যৌক্ত🦩িক হবে৷' ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব৷ আর ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইংরেজি বর্ষবরণ উৎসব৷ গ♕ত বছরও এই আয়োজনগুলোতে বিধিনিষেধ জারি ছিল৷
বাংলাদেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় জীবনযাত্রা অনেকটা আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে৷ তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও পৌঁছে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে৷ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কার𓄧িগরী পরামর্শক কমিটির সুপারিশে ইতিমধ্যে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর৷ সব ধরনের (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা; পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) লোক সমাগম ধারণক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে রাখা এবং রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম আসনে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে সেখানে৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতি বছর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়৷ সেইসঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ ‘অতিমারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করা হচ্ছে৷ এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরಞ ধর্ম🐼ীয় অনুষ্ঠান সীমিত করে পালিত হয়েছে৷
চিঠিতে 🍷এ পরিস্থিতিতে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরের আয়োজন সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ‘কঠোর নজরদারি' অব্যাহত রাখতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগের চিঠিতে৷