সাম্প্রতিককালে আইনসভা এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে বিভেদ দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এই আবহে আজ হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, 'আমরা নির্বাচিত নই। তবে এটা আমাদের দুর্বলতা নয় বরং শক্তি।' আজ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় বিচারব্যবস্থা নির্বাচিত শাখা নয়। গণতন্ত্রের নির্বাচিত শাখার গুরুত্ব অনেক। আমি সেটাকে ছোট করছি না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এক্সিকিউটিভ শাখাকে সংসদের কাছে জবাবিহি করতে হয়। আমি দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে এই ব্যবস্থাকে সম্মান করি। তবে এটাও বোঝা উচিত যে বিচারপতিদের ভূমিকা কী। আমরা নির্বাচিত নই। তবে এটা আমাদের দুর্বলতা নয় বরং শক্তি।' (আরও পড়ুন: 'চিন্তাধারা বদলাতে হবে', বিচার ব্যবস্থায় নারীদের সমান সু﷽যোগ দেওয়ার বার্তা CJI-এর)
বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'আমাদের সমাজ সংবিধান দ্বারা চালিত। আদালত সেই মূল্যবোধকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে। অনেক সময়ই আমরা সময়ের আগে চলে যাই। যেমন পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সময়ের থেকে এগিয়ে। সমলিঙ্গে বিবাহের ক্ষেত্রেও আমার রায় বর্তমান সময়ের থেকে এগিয়ে। আমি সমলিঙ্গে বিবাহের আইনি বৈধতার পক্ষে রায় দিয়েছিলাম। তবে আমার তিনজন সহকর্মী আমার সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। এটাই বিচার ব্যবস্থার প্রক্রিয়া। এবং আমি এটাকে সম্মান করি। সংখ্যাগরিষ্ঠ আমার মতের সঙ্গﷺে অমত প্রকাশ করেছে বলেই আমি সেটার সমালোচনা করব না।'
lতিনি আজ আরও বলেন, 'বিচারপতিরা এটা দেখেন না যে রায়ে🐬র ফলে সমাজ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবে। এটাই নির্বাচিত🐈 প্রতিনিধিদের থেকে বিচারপতিদের পার্থক্য। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মানুষের মন বুঝতে হবে। তবে বিচারপতিরা সংখ্যাগরিষ্ঠদের মূল্যবোধে চলেন না, আমরা সাংবিধানিক মূল্যবোধ মেনে চলি। তাই আমি মনে করি যে বিচারব্যবস্থায় সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারি।'
এদিকে সাম্প্রত♑িককালে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিলেই তার বিরুদ্ধে সংসদে আইন আনা হয়েছে। এই বিষয়ে আজ প্রধান বিচারপতিকে প্ꦿরশ্ন করা হয়। এর জবাবে তিনি বলেন, 'কোনও ক্ষেত্রে রায় দিলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কী করতে পারেন এবং কী করতে পারেন না, তার একটা লক্ষ্মণরেখা রয়েছে। যদি এমন কোনও ক্ষেত্রে আদালত রায় দেয় যেখানে আইনে ঘাটতি ছিল, তাহলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সেই আইনি ঘাটতি মেটাতে নতুন আইন আনতে পারেন। তবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এটা বলতে পারে না যে এই রায় ভুল। আর কোনও রায় দেওয়া হলে নতুন আইন আনার বিষয় এখন থেকে হচ্ছে না। এটা ১৯৫১ সালেও হয়েছে।'