হিন্দুস্তান টাইমসের ১০০তম বর্ষে আয়োজিত লিডারশিপ সামিটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আজ আগের কংগ্রেস সরকারগুলিকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি অভিযোগ করেন, আগে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জেরে উন্নয়নের দিকে নজর দিত না আগের সরকারগুলি। এর পাশাপাশি তিনি ইমারজেন্সি ইস্যু নিয়েও সোচ্চার হন। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ন🎃ানকানা সাহিবে যা🌄ওয়ার পথে নৃশংস ভাবে খুন হিন্দু তীর্থযাত্রী!)
আরও পড়ুন: রানওয়ের পাশে অকꦜেজো ট্র্যাক্টর, কলকাতা থেকে উড়ে যাওয়া বিমানের অবতরণে বিলম্ব
আজ হিন্দুস্তান টাইমস সমিটে এলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এক সময়ে ভারতে ১০ বছরে ৫টি নির্বাচন হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল, ভারতের রাজনীতি এমনই চলবে। বিশ্বেও সব জায়গায় সরকার পালটে যায় প্রতি নির্বাচনে। আর আমাদের সরকারকে টানা তৃতীয়বারের জন্যে ক্ষমতায় এনেছে ভারতীয় জনগণ। বলা হত - ভালো অর্থনীতি হল বাজে রাজনীতি। এর জেরে সরকার হাতের ওপর হাত রেখে বসে থাকত। আগে নির্বাচন জেতার জন্যেই রাজনীতি করত দলগুলি। আর ভোটে জিততে দলগুলি ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি করে নিত। এবং তাদের তোষণের জন্যে নীতি তৈরি করত। আগে নির্বাচন জেতার জন্যেই রাজনীতি করত দলগুলি। এই ধরনের রাজনীতির জেরে দেশে অসাম্য বেড়েছে। বোর্ড লেগে যেত কিন্তু উন্নয়ন দেখা যেত না। মানুষ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। আর আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির থেকে অনেক দূরে। আমরা মানুষের জন্যে, মানুষের মাধ্যমে এবং মানুষের দ্বারা উন্নয়নে বিশ্বাসী।' (আরও পড়ুন: ক🎐্লডিয়াস-নীরজদের ভুলে ෴বসলেন মমতা? বললেন, 'ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি')
মোদী দাবি করেন, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচার সত্ত্বেও মানুষ তাঁদের ওপর আস্থা রেখেছে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া জমানায় এত ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়। এত সংবাদপত্র, চ্যানেল আছে, সেই সময়ও ভারতীয় নাগরিকদের আস্থা আছে আমাদের এবং আমাদের সরকারের ওপর। যখন জনগণের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, তখন দেশের উন্নয়নে আলাদা প্রভাব দেখা যায়।' এদিকে মোদী আগের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগে অভিযোগ করেন, তাদের জন্যে ভারতীয়রা ঝুঁকি নিতে ভুলে গিয়েছেন। আদ্যিকালের সঙ্গে সাম্প্রতিক ইতিহাসের তুলনা টানেন তিনি। বলেন, 'একটা সময় ছিল𒊎 যখন আমাদের দেশ গোটা বিশ্বের বাণিজ্যের হটস্পট ছিল। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা একসময়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আরব, রোম সাম্রাজ্য পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। সেই ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা স্বাধীনতার পরও দেখাতে হত আমাদের। তবে স্বাধীনতার পরে আসা সরকারগুলি ভারতীয় নাগরিকদের সেই ঝুঁকি নেওয়ার♏ জন্যে ভরসা প্রদান করেনি।'
এদিকে আজ মিজের বক্তব্যে ইমারজেন্সির প্রসঙ্গও টেনে আনেন মোদী। তিনি বলেন, 'যখন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, অনেকেই ভেবেছিল🧜েন যে এভাবেই হয়ত চলতে থাকবে এরপর। অনেক প্রতিষ্ঠান সেই সময় ইমারজেন্সি জারি করা শাসকের শরণে চলে গিয়েছিল। তবে মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে কয়েক বছরেই সেই ইমারজেন্সিকে উপরে ফেলে দ🌟িয়েছিল।'