সোমবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে বিতর্কিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া জমা দিল উত্তরপ্রদেশ আইন কমিশন। এই খসড়ায় ২টির বেশি সন্তান থাকা ব্যক্তিদের স্থানীয় নির্বাচন, সরকারি চাকরি, বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি এবং তাঁদের সুযোগ-সুবিཧধা সীমিত করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ সপ্তাহ ধরে কমিশন প্রায় ৮,৫০০ জনের পরামর্শ গ্রহণ করেছে। সেগুলির ঝাড়💧াই-বাছাই করা হয়েছে। এরপরেই উত্তরপ্রদেশ জনসংখ্যা(নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা এবং ক⛦ল্যাণ) বিল, ২০২১-এর ২৩২ পৃষ্ঠার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এরই কিছু ধারা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। কিছু প্রস্তাব, যেমন কারও ২টি মেয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে আইনের আওতার বাইরে রাখার ধারা প্রত্যাখান করা হয়েছে। মেয়ে হোক বা ছেলে, আইন একইভাবে প্রযোজ্য হবে।
এছাড🐼়া দুটি মেয়ে থাকলে তৃতীয় সন্তান ধারণের ক্ষ🎃েত্রে ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যদিকে ২টির বেশি সন্তান থাকলে ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে না দেওয়া, সংরক্ষণ বাতিল করার মতো প্রস্তাব কমিশন গ্রহণ করেনি।
কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এন মিত্তল। তিনি মুꦕখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখিত বার্তায় বলেন, 'জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রত্যেক দেশবাসীর উদ্বেগের কারণ। কমিশন সব পরামর্শ বিস্তারিতভাবে অধ্যয়ন করেছে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত সংশোধন অন্তর্ভুক্ত করেছে।'
এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন, 'রাজ্য আইন কমিশন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্র♏ণ সংক্রান্ত খসড়া মুখ্যমন্ত্রীর কা🤪ছে জমা দিয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইনের সুপারিশ করা হয়েছে।'
রাজস্থান, অসম এবং ওড়িশাসহ কমপক্ষে নয়টি রাজ্য সীমিতভাবে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করেছে। মূলত স্থানীয় নির্বাচনে ২🔜টির বেশি সন্তান আছে, এমন কাউকে প্রার্থী করা যাবে না এই রাজ্যগুলিতে। তবে, উত্তরপ্রদেশের খসরা বিলের পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা করা হয়েছে তাতে।