সদ্য সমাপ্ত হয়েছে ১৮ তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন। তারপরেও বিতর্ক থামছে না। এর আগে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রা🌞হুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অসত্য ভাষণের অভিযোগ তুলে স্পিকারের কাছে চিঠি লিখেছিল বিজেপি। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। এই অভিযোগে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি লিখেছে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার স্পিকারের কাছে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর।
আরও পড়ুন: ‘মোদী মিথ্যা কথা বলেছেন...’ রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট নিয়ে কী বﷺললেন খাড়গে?
চিঠিতে মানিকম𒁏 ঠাকুর সংসদের ১১৫(১) ধারার নির্দেশ শাসকদলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার আর্জি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই নির্দেশ অনুযায়ী, লোকসভার কোনও সদস্য যদি মন্ত্রী বা অন্য কোনও সাংসদের বিবৃতিতে তথ্যগত ভুল বা অসত্য তথ্য খুঁজে পান, তাহলে সংসদে বিষয়টি তোলার আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্পিকারকে চিঠি লিখবেন। তিনি বিষয়টি সংসদে উত্থাপনের জন্য স্পিকারের কাছে অনুমতি চাইবেন।✤ ওই আইন অনুযায়ী মোদি এবং অনুরাগের বিরুদ্ধে অসত্য ভাষণের অভিযোগ চিঠিতে তুলে ধরেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন🍸, কংগ্রেস মহিলাদের প্রতি ম🤡াসে ৮৫০০ টাকা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাংসদ দাবি করেছেন, কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি ছিল সরকার গঠন করার পরে তারা এই অর্থ দেবে। কংগ্রেস সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হতো। কিন্তু, তারা ক্ষমতায় যেহেতু আসেনি তাই এনিয়ে কোনও প্রশ্ন আসে না।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দাবি ক⛎রেছিলেন যে ১৬ টি রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট কমে গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেও কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেছেন, এই বক্তব্য ভুল। কারণ হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি ছিল, যে কংগ্রেসের আমলে সেনাবাহিনীর জন্য কোনও বুলেট প্রুফ জ্যাকেট দেওয়া হয়নি। সেই দাবিও ভুল বলে দাবি করেছেন মানিকম। তিনি জানান, জ্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জ্যাকেটের ঘাটতি ছিল। এছাড়াও কংগ্রেসের আমলে ভারতীয় সেনার যুদ্ধবিমান ছিল না বলে দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেস সা❀ংসদ বলেছেন, কংগ্রেসের আমলে জাগুয়ার, মিগ ২৯, সুখোই ৩০, মিরাজ ২০০০ এর মতো যুদ্ধবিমান ছিল।
অন্যদিকে, অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেছিলেন, ২৫ টি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার উপরে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও তিনি দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী একটিও ছুটি নেননি। সেই দাবিও ভুল বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সা🐎ংসদ। এ বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই সমস্ত বিতর্কিত অংশ মুছে ফেলার আর্জি জানিয়েছেন মানিকম।