রাজ্যসভা চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডুকে একটি চিঠি লিখে কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয় হল যে তারা রাজ্যসভায় তাণ্ডবের তদন্তে যোগ দেবে না। রাজ্যসভায় তাণ্ডবের তদন্তের লক্ষ্যে গঠিত কমিটিতে সদস্য মনোনয়ন করতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসকে। তবে হাস শিবির জানিয়েছে যে তাদের দল থেকে এই কমিটিতে কোনও সদস্য যোগ দেবেন না। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে যে তারা মনে করছে যে এই তদন্ত কমিটি রাজ্যসভা সদস্যদের চাপে রাখার স্বার্থে গঠিত হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১১ অগস্ট কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজ্যসভা। বিরোধীদের অভিযোগ, মহিলা সাংসদদের নিগ্রহ করেছেন মার্শালরা। পালটা বিজেপির দাবি, মার্শালদের ধাক্কা মেরেছেন বিরোধীরা। এই আবহে সময়ের আগেই বাদল অধিবেশন শেষ করে দেওয়া হয়। এরপরই এই ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।১১ অগস্ট রাজ্যসভায় সাধারণ বিমা সংস্থার ব্যবসা (জাতীয়করণ) সংশোধনী বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বিল আলোচনার মাধ্যমে পাশ করাতে রাজ্যসভার অধিবেশন বাড়ানোর আর্জি জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। যদিও বিরোধীরা দাবি করতেন থাকেন, পরের দিনও বিলটি পেশ করা যেতে পারে। সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা ওয়েলে নেমে পড়েন। সেই সময় 'চেয়ার'-এর দিকে বিরোধী সাংসদরা এগোতে গেলে মার্শলরা তাঁদের আটকে দেন।তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম, ডিএমকে-সহ বিরোধী দলগুলি এককাট্টা হয়ে বিরোধিতা চালিয়ে যেতে থাকে। কয়েকজন সাংসদকে কাগজ ছিঁড়তে দেখা যায় বেঞ্চের উপর উঠে। সেই কাগজ 'চেয়ার' এবং আধিকারিকদের দিকে ছুড়ে দেন বিরোধী সাংসদরা। সেই সময় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী সাংসদরা।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল অভিযোগ করেন, এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর গলা টিপে ধরার চেষ্টা করেছিলেন একজন বিরোধী সাংসদ। বিরোধীদের 'তাণ্ডব' পর্যালোচনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখা হয় সরকারপক্ষের তরফে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়।