গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দিগ্বিজয় সিং গতকালই জানিয়েছিলেন যে তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য লড়বেন। মনে করা হচ্ছিল, সভাপতির লড়াইটা হবে শশী থারুর বনাম দিগ্বিজয়ের মধ্যে। তবে দিগ্বিজয়কে নিয়ে সংশয় ছিল বহু নেতার মনেই। অনেক ক🦋্ষেত্রেই আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ানো দিগ্বিজয়ের স্বভাব। এই আবহে আরও এক ‘গান্ধী ঘনিষ্ঠ’ নেতা কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সামিল হলেন। সূত্রের খবর, আজ মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে দৌড়ে সামিল হতে পারেন মল্লিকার্জুন খড়গে।
এদিকে খড়গে বাদে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে আরও দুই নেতার নাম। আর এই দুই নেতাই ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে পরিচিত। এঁদের একজন হলেন – মণীশ তিওয়ার। অপরজন হলেন মুকুল ওয়াসনিক। জি-২৩ গোষ্ঠীর সেই বিস্ফোরক চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল এই দুই নেতারই। সাম্প্রতিককালে মণীশ তিওয়ারি অনেক ক্ষেত্রেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে দলতে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। অগ্নিবীরের মতো প্রকল্প নিয়ে তিনি কেন্দ্রকে সমর্থন ꦐকরেছেন। এদিকে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে পরিচিক হলেও কোনও বিতর্কে জড়াননা মুকুল ওয়াসনিক। জি-২৩ গোষ্ঠীর চিঠিতে তাঁর স্বাক্ষর থাকলেও দলের হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে আজও পর্যন্ত তাঁকে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে শোনা যায়নি। এত বিতর্কের মাঝেও দলের সাধারণ সম্পাদকের পদও তিনি ধরে রেখেছেন। এই আবহে এই দুই নেতা সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন পেশ করলে সমীকরণ বদলে যাবে ফের একবার।
এদিকে আজই নিজেদের মনোনয়ন পেশ করার কথা শশী থারুর এবং দিগ্বিজয় সিংয়ের। এর সঙ্গে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে গান্ধীদের ‘সমর্থনে’ মনোনয়ন পেশ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে সভাপতে পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্ব🐬িতা করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মণীশ তিওয়ারি। এদিকে জানা গিয়েছে, দলের একাংশ মুকুল ওয়াসনিককে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়া মোড় নিতে চলেছে।