সামনেই বাজেট। তার আগে, দেশে ন্যূনতম মজুরি নিয়ে এবার সরব হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, এবার সময় চলে এ🍰সেছে, যাতে দেশে ন্যূনতম মজুরি প্রতিদিন ৪০০ টাকা হিসাবে ধার্য করা হয়। এই বিষয়ে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ একটি টুইট পোস্ট করে দেশের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কিছু পরিসংখ্যান পেশ করেন। জয়রাম রমেশের দাবি, ৪০০ পার করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী ভোটারদের ‘তিরষ্কারের খোঁচা’ পেয়েছেন, তবে বিজেটে মোদীর সামনে সুযোগ রয়েছে ‘আসল ৪০০ পার’ প্রাপ্তির।
কংগ্রেসের দাবি, এবার গোটা দেশে ন্যূনতম মজুরি দিনে ৪০০ টাকা করতে হবে। এই বিষয়ে গত ১০ বছরের মজুরি সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি সেখানে দাবি করেন, ১০ বছর আগে দেশের মজুরিকৃত কর্মীদের যা ক্রয় ক্ষমতা ছিল, তার থেকে এখন মজুরিকৃত কর্মীদের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। রমেশ তাঁর পোস্টে লেখেন,༺ ‘প্রকৃত মজুরি ভারতের বেশিরভাগ জায়গার জন্য স্থবির হয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে।’ দেশের প্রকৃত মজুরি কমতির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ও ধীর গতিতে পারিশ্রমিক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন রমেশ। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘লেবার ব্যুরো ওয়েজ রেট’ এর তথ্য প্রকাশ করে বাজেটের আগে দেশে ন্যূমতম মজুরি নিয়ে ব্যাপক তোপ দাগেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। তথ্যে তিনি তুলে ধরেন, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মজুরির বৃদ্ধি কীভাবে স্থবির অবস্থায় চলে যায়। তথ্য পেশ করে তাঁর দাবি, ২০১৯ থএ♐কে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের ন্যূনতম মজুরির হার কমেছে। উল্লেখ্য, এই সময়কালে মোদী সরকার রয়েছে কেন্দ্রের শাসন ক্ষমতায়। সেই জায়গা থেকে বাজেট ২০২৪র আগে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধিতে বিজেপিকে চাপ দিতে শুরু করেছে কংগ্রেস।
পর্যায়ক্রমিক শ্রম বাহিনী সমীক্ষা সিরিজের উদ্ধৃতি দিয়ে, রমেশ বলেছেন যে সময়ের সাথে সাথে গড় প্রকৃত উপার্জন, ২০১৭ থেকে ২০২২ এর মধ্যে সমস্ত কর্মসংস্থানের ধরন - বেতনভোগী কর্মী, নৈমিত্তিক কর্মী এবং স্ব-নিযুক্ত কর্মীগুলিতে স্থবির হয়ে পড়েছে। কংগ্রেসের সাফ দাবি, শ্রমিকদের ন্যায় দিতে দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ৪০০ টাকা করতে হবে। খোঁচার সুরে জয়রাম রমেশ বলেন,'স্ব-অভিষিক্ত অ-জৈবিক প্রধানমন্ত্রী লোকসভায় ৪০০ এর কাছাকাছি পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় ভোটারদের দ্বারা একটি তিরস্কৃত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাজেট তাঁকে সুযোগ দিচ্ছে.. যাকে কংগ্রেস আসল ৪০০ পার বলছে, তা অ♓র্জন করার। দেশব্যাপী সর্বনিম্ন মজুরি দৈনিক ৪০০ টাকা করা একটি এমন ধারণা, যার সময় এসে গিয়েছে।'