অসমের বিভিন্ন চা বাগানে এবার থাবা বসিয়েছে করোনা। অসম স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েকদিনে প্রায় তিন শতাধিক অ্যাক্টিভ কেস পাওয়া গিয়েছে অসমের চা বাগানগুলিতে। মূলত ডিব্রুগড় ও বিশ্বনাথ জেলার চা বাগানগুলিতেই এই প্রবণতা বেশি। ডিব্রুগড়ের স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব নবজ্যোতি গগৈ শুক্রবার জানিয়েছেন,' জালোনি চা বাগান এলাকায় প্রচুর কেস পাওয়া গিয়েছে। প্রথমদিনই ৩৯টি পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয়দিন পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৯০টি কেস। তৃতীয়দিন পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৫০টি পজিটিভ কেস। অন্যান্য দুটি চা বাগানেও আরও প্রায় ৬০টি পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে। তবে চা বাগানগুলিকে ইতিমধ্যেই কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীই উপসর্গবিহীন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা অনুসারে হয় কোয়ারেন্টাইনে অথবা হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।'তিনি আরও জানিয়েছেন, গত বছর চা বাগানগুলিতে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সময় দেখা গিয়েছিল বেশিরভাগ চা বাগানের শ্রমিকই করোনার প্রথম ঢেউতে সংক্রামিত হননি। এবার যখন নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে তখন চা বাগান এলাকায় পরীক্ষা করা শুরু হয়। এটা যদি না হত তবে উপসর্গবিহীনরা নজরের বাইরে থেকে যেতেন। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা আরও বেশি থাকত।' এদিকে নীলপুর চা বাগানেও পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৪৬টি পজিটিভ কেস। সূত্রের খবর অসমেও দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা। বৃহস্পতিবার অসমে ৪ হাজার ৯৩৬টি নতুন কেস পাওয়া গিয়েছে এটা অতিমারির সময়কালে দিনের সংক্রমণের নিরিখে সবথেকে বেশি। বৃহস্পতিবার একই দিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। '