নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হল কেরালার তিনের শিশুকন্যা। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরের ২ বাসিন্দার শরীরেও মিলল সংক্রমণের প্রমাণ। সব মিলিয়ে বর্তমানে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩।চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া মারাত্মক করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার কাশ্মীর থেকে কেরালা। সোমবার পাঠনমথিট্টা জেলায় ওই শিশুকন্যার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরনাকুলমের জেলাশাসক এস সুহাস। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালে ভরতি শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’জানা গিয়েছে, গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছিল শিশুটি। তাদের সঙ্গেই ভারতে ফেরেন আরও ৯ জন। বিমানবন্দর থেকেই শিশুটির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। সেি সঙ্গে এমিরেটস বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের নমুনার রিপোর্টও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপর কড়া নজরদারির উদ্দেশে কোচিতে দিন-রাতের কপন্ট্রোল রুম খুলেছে প্রশাসন। সেথানে অবিলম্বে হাজিরা দিতে দুবাই থেকে আসা বিমানের সমস্ত যাত্রী ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন জেসাশাসক এস সুহাস। শিশুকন্যাকে নিয়ে কেরালায় করোনাভাইরাসের শিকার হলেন ৬ জন।অন্য দিকে, রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের এক যুবকের শরীরে মারাত্মক এই চিনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলার পরে সোমবার কার্গিলবাসী ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধার দেহেও সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ওই বৃদ্ধা কিছু দিন আগে ইরান থেকে ফিরেছেন বলা জানা গিয়েছে। দুই রোগাীকেই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁরা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৩ জনের শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে বলে এ দিন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব সঞ্জীব কুমার। ভাইরাস হানায় আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছে সরকার।