মারাত্মক শিশুরোগ কাওয়াসাকি ডিজিজ-এর সঙ্গে কি সম্পর্ক রয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের? সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই প্রশ্ন তুল🅰েছেন বিশ্বের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
প্রবল জ্বর, রক্তবাহী শিরা ফুলে ওঠা, আচমকা প্রদাহ ও গাঁটের অসহ্য ব্যথা। ছয় থেকে দশ বছর বয়েসি শিশুদের মধ্যে হামেশাই দেখতে পাওয়া যায় কাওয়াসাকি ডিজিজ-এ⛄র এই সমস্ত উপসর্গ। এই শিশুরোগের সঙ্গে করোনা সংক্রমণের যোগসূত্র খুঁজতে গবেষণা শুরু করেছেন আ༒মেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন ও সুইৎজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, করোনা সংক্রমণের প্রকোপ থেকে কিছু হলেও রেহাই মিলেছে শিশুদের। বিশ্বের অধিকাংশ সংক্রমিত ও মৃতের মধ্যে শিশুর সংখ্যা নগণ্য। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে বিষাক্ত শক ও কাওয়াসাকি ডিজিজ-এর মতো উপসর্গ নিয়ে 𝓀হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভরতি হয়েছে প্রায় ১০০ শিশু। বিষয়টি জানতে পেরে এর সঙ্গে করোনা সংক্রমণের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দ𓃲েখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO।
কাওয়াসাকি ডিজিজ-এর উৎস সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে শিশুরোগ বিশে🍃ষজ্ঞরা। উপসর্গ হিসেবে দেখা যায় প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, শিরা ফুলে ওঠা, প্রদাহ ও গাঁটের প্রচণ্ড ব্যথা। বিশ্বে সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত বয়েসি শিশুদের মধ্যে এর প্রকোপ থাকলেও ভারতে তার চেয়ে বয়স্ক শিশুরা তার শিকার হয়। এর জেরে শিশুদের মধ্যে হার্টের সমস্যাও দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, Covid-19 ও কাওয়াসাকি ডিজিজ, দুই উপসর্গের 🌳মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, যার জেরে 🐈শরীরে শক দেখা দেয়।
চিকিৎসকদের মতে, শিশু কাওয়াসাকি ডিজিজ বা করোনা আক্রান্ত হয়েছে কি না জানতে হলে নজর রাখা দরকার কয়েকটি শারীরিক পরিবর্তনের উপরে। এর মধ্যে রয়েছে, ফ্যাকাশে ভাব, হাত-পা-নাক ইত্যাদি অত্যন্ত ঠাণ্ডা হয়ে ওঠা, শ্বাসকষ্ট এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ করা, ঠোঁট নীল♔চে হয়ে ওঠা, খিঁচুনি, নাগাড়ে কান্না, নিঃসাড় ভাব ও সারা গায়ে হঠাৎ চাকা চাকা র্যাশ বের হওয়া।