ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা জাহাজের দুই ভারতীয় কর্মীর শরীরে পাওয়া গেল নোভেল করোনাভাইরাসের সন্ধান।সংক্রমণের ভয়ে স্পেনে বাতিল হল বিশ্ব মোবাইল কংগꦡ্রেস।
শেষ পর🌼্যন্ত আশঙ্কা সত্যি হল বিনয় কুমার সরকারের।জাপানে আটক ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ জাহাজের মোট ১৭৪ জন আরোহী আপাতত এই ভয়ংকর জীবাণু সংক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাপানের ভারতীয় দূতাবাস।
গত সপ্তাহের গোড়ায় ৩,৭১১ যাত্রী-সহ জাপান উপকূলে পৌঁছয় প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস। জানুয়ারি মাসে এই জাহাজ থেকে হংকংয়ে নামা এক যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব প্রমাণিত হওয়ার পরে জাহাজটিকে🗹 ইয়োকোহামা বন্দরে বিচ্ছিন্ন বা কোয়ার্যান্টাইন্ড অবস্থায় নোঙর করতে বাধ্য করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জাহাজের কর্মী উত্তর দিনাজপুরের বিনয় কুমার সরকার ফেসবুক পোস্টে যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে মারণভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার ༒কথা জানিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্য চেয়ে আর্জি জানান।তিনি জানা𒅌ন, ১৩৮ জন অসহায় ভারতীয় জাহাজকর্মীদের মধ্যে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পরেই ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ডায🦩়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ ও তার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার দূতাবাসের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস (nCoV) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় জাহাজটিকে বন্দরে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে জাপান প্রশাসন।ꦕ দুই ভারতীয়-সহ মোট ১৭৪ জন আরোহীর মধ্যে nCoV-এর সংক্রমণ ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।’
আক্রান্ত সমস্ত 🤡আরোহীকে জাপান সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়া💦র্ডে রাখা হয়েছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিকে, নোভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার জেরে বেশ কিছু নামী সংস্থা স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না বলে শেষ ꦅপর্যন্ত এই সম্মেলন বাতিল হতে 🍸চলেছে।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। এখনও পর্যন্ত স্পেন সরকারের তরফে nCoV নিয়ে কোনও স্বাস্থ্যবিধি বা সতর্কতা জারি করা না হলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় শেষꦅ পর্যন্ত 🅘বার্সেলোনা শহরের এই সম্মেলন বাতিলের ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে আয়োজক সংস্থা জিএসএমএ। বুধবার ই-মেলের মাধ্যমে জিএসএমএ-এর সিইও জন হফম্যান জানিয়েছেন, নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে আন্তর্জাতিক মোবাইল সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভয়াবহ এই ভাইরাস সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যে চিনে মৃত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষের। আক্রান্ত হ꧒য়েছেন প্রায় ৫০,০০০ ব্যক্তি। হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়ে ক্রমে বিশ্বের ২৪টি দেশে এখনও পর্যন্ত মিলেছে করোনাভাইরাসের সন্ধান। ভাইরাস হানার প্রভাবে সংকট ঘনিয়েছে চিনের অর্থনীতিতেও।