সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক ঘোষণা করে জানানো হয় যে আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশে আর বলবত থাকবে না বিপর্যয় মোকাবিলা আইন। অর্থাত্, করোনা সংক্রান্ত সকল প্রকারের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে এই দিন থেকে। তবে কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়, মাস্ক পরার বিষয়টি তখনও বাধ্যতামূলক থাকবে। তবে মানুষ♏ের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহা দেখা গিয়েছে বহু জায়গায়। বাসে বা ট্রেনে হোক বা আইপিএলের ম্যাচে স্টে🎶ডিয়ামে। মাস্কবিহীন মানুষ চোখে পড়ে সর্বত্র। এহেন মানুষদের মাস্ক পরতে বললে শোনা যায় নানান অজুহাত। অনেকে তো আবার পাল্টা যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। এই পরিস্থিতিতে এবার রাজ্যগুলিকে নয়া নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নাগরিকদের মাস্ক পরতে বাধ্য করুন, এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে কড়া নজরদারির উপর জোর দিতেও বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে এক সরকারি কর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘কোভিড-উপযু𓂃ক্ত আচরণ কঠোরভাবে বাস্তবায়িত করার দিকে নজর দিতে হবে। এখন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিপর্যয় মোকাবিল🤪া আইনের অধীনে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। লোকেদের আত্মতুষ্ট হওয়া উচিত নয়। এটা ভাবা উচিত নয় যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কম এবং এর জেরে প্রতিরোধমূলক কোনও পদক্ষেপ করতে হবে না। মহামারী এখনও শেষ হয়নি।’
স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এই সংক্রান্ত চিঠি লিখেছেন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। সেই চিঠিলে লেখা, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দ্বারা জারি করা কোভিড-উপযুক্ত আচরণ নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে মেনে 💖চলতে বলা হয়েছে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। সেখানকার নাগরিকরা যাতে এই নির্দেশিকা মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমাগত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রাজ্যগুলিকে। মানুষজন যাতে মাস্ক পরে এবং দূরত্ব বিধি বজায় রাখে তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যগুলিকে।’ পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষা, ট্র্যাকিং, চিকিত্সা, টিকাকরণের উপরও নজর দিতে হবে।