আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা ডেঙ্গি আক্রান্ত এক রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল হাꦡসপাতালের এক ঝাড়ুদারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ঝাড়ুদারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। মঙ্গলবার গুজরাটের গান্ধীনগরের জেলা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৬ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল গান্ধীনগরের অ্যাপোলো হাসপাতালে। এই মামলায় আরও এক অভিযুক্ত পা❀কিস্তানি বংশোদ্ভূত এক চিকিৎসক পলাতক। অভিযোগ উঠেছিল দুজন মিলে ওই রোগিণীকে তিনবার ধর্ষণ করেছিল।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ৬ বছরের শিশুকে খুন! স্নিফার ডগ চেনাল ෴অভিযুক্তকে
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার পর ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু আইসিইউ–তে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই ঝাড়ুদার চন্দ্রকান্ত ভাঙ্কর এবং ওই চিকিৎসক ডাঃ রমেশ চৌহান তাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। ওই চিকিৎসকের আহমেদাবাদ শহরের জন্য আবাসিক পারমিট ছিল। কিন্তু, গান্ধীনগর জেলার হাসপাত﷽ালে অনুমোদনহীনভাবে নিযুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে বিদেশি আইনের অধীনেও মামলা করা হয়েছিল।এই ঘটনাটি বেসরকারি হাসপাতালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ডাক্তারদের বেআইনিভাবে নিয়োগের বিষয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। পরে যে সমস্ত চিকিৎসকরা পাকিস্তান থেকে ডিগ্রি করে এসেছিল তাদের ডাক্তারকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। রমেশকেও বরখাস্ত করেছিল হাসপাতাল।
অন্যদিকে, আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করে।💫 কারণ সে জামিন পাওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যায় এবং বিচারে অংশগ্রহণ করেনি। ভাঙ্করের মামলাটি ডাক্তারের কাছ থেকে আলাদা ছিল এবং তার বিচার করা হয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি জানান, এই মামলায় ২৩ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। ৩৫ টি বিভিন্ন ধরনের নথি আদালতে প্র𓆉মাণ হিসেবে পেশ করা হয়েছিল। জানা যায়, ধর্ষণ করার আগে তরুণীকে শয্যার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ডি কে সোনি ভাঙ্করকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে সরকারি কৌঁসুলি সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। আদালত দোষীকে ২,০০০ টাকা জরিমানা এবং নির্যাতিতাকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক ✨অপরাধীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (সি)(ডি) এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। কোনও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় বা হাসপাতালের স্টাফের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির দ্বারা যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে এই ধারায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসকের খোঁজ চালাচ্ছে।