সোমবার রাত থেকে আগামী ছয় দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা হল দিল্লিতে। করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এমনই সিদ্ধান্ত নিল কেজরিওয়াল সরকার।রবিবারই দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫,৪৬২ জন করোনা আক্রান্ত হন। সঙ্গে বেড়েছে পজিটিভিটি রেটও। ১০০টি নমুনার মধ্যে ৩০টি ক্ষেত্রেই রিপোর্ট পজিটিভ আসছে।ফলে, করোনা পরিস্থিতি যথেষ্টই আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থা সংক্রমণের 'চেন ব্রেক' করতে কড়া পদক্ষেপ দিল্লি সরকারের। কেজরিওয়াল বলেন যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রায় ভেঙে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে লকডাউন করতে হল। তিনি আশা করেন যে এই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে না। অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে লকডাউন এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করছিল দিল্লির প্রশাসন। সেই কারণে সপ্তাহান্তে লকডাউনের পথই বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে। তাই এবার ছয় দিনের জন্য কার্ফু জারি করারই সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি। ২৬ তারিখ ভোর পাঁচটা অবধি চলবে লকডাউন। কেজরিওয়াল পরিযায়ী শ্রমিকদের দিল্লি না ছাড়ার অনুরোধ করেছেন। বেসরকারি অফিসদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। সরকারি অফিস যদিও খোলা থাকবে। শুধু অত্যাবশক পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের অফিসে আসতে বলা হবে। দিল্লির এলজি বইজালের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। ইতিমধ্যেই অনেক বড় বাজার নিজের থেকে সাতদিন বন্ধ করে রাখার কথা বলেছে। এর পাশাপাশি তুমুল সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন জানান যে, এই মুহূর্তে দিল্লিতে প্রায় ১০০টি ICU বেড খালি আছে। ফলে এখনই সংক্রমণ রোখার মরিয়া চেষ্টা করা ছাড়া উপায় নেই।