গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমিত হলেন আরও ২২,৭৫২ জন। এই নিয়ে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ল ৭,৪২,৪১৭। বুধবার সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২,৬৪,৯৯৪ জন। সুস্থ হয়েছেন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪,৫৬,৮৩০ জন।মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতে করোনা সংক্রমণের মারা গিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ২০,৬৪২ জন, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৮২ জনের। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় করোনায় মৃতের হার ভারতে নিম্নতম। পাশাপাশি, প্রতি ১০ লাখে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম। এই সাফল্যের কৃতিত্ব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক তৎপরতার জন্যেই সম্ভব হয়েছে, জানিয়েছে মন্ত্রক।করোনা হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকায় রয়েছে দিল্লি, যেখানে প্রতি ১০ লাখে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩,৪৯৭.১ জন, যা দেশে সর্বাধিক। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র, যেখানে প্রতি ১০ লাখে সুস্থ হওয়ার হার ৮৬৯.৫ জন। তামিল নাডুতে প্রতি ১০ লাখে সুস্থতার হার ৭৫৩ জন এবং হরিয়ানায় ৪৮০.৯ জন। তেলাঙ্গনা ও কর্নাটকেও Covid-19 রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস-এর ২০টি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের তালিকা। সংক্রমণের হার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়া, কোভিড পজিটিভের হার দ্রুত বেড়ে চলা এবং উল্লেখযোগ্য হারে কোনও একটি শহরে কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে পরবর্তী হটস্পটগুলি চিহ্নিত করার উদ্দেশে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তেলাঙ্গনায় ২৫,৭৩৩ জন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে, যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১,২১৯ জন। কর্নাটকে ২৫,৩১৭ জন আক্রান্তের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১,১৩৭ জন। এ দিকে, মঙ্গলবার মাস্ক ও স্যানিটাইজার আবশ্যিক পণ্য আইনের আওতা থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। দেশের কোথাও এই দুই পণ্যের অভাব রয়েছে বলে খবর না পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত মার্চ মাসে চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় এই দুই পণ্যকে আবশ্যিক পণ্য আইনের আওতায় আনা হয়।