নতুন বছরের শুরুতে ভারতে কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হওয়ার কথা। তার আগে আগামী কাল ও পরশু অর্থাৎ ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর পঞ্জাব, অসম, অন্ধ্র প্রদেশ ও গুজরাত- প্রতিটি রাজ্যের দুটি জেলায় টিকাকরণ প্রক্রিয়ার ড্রাই রান বা মহড়া চালু করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মহড়ায় কোনও ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা হবে না, শুধুমাত্র Co-WIN অ্যাপ-এর সাহায্যে নজরদারি ব্যবস্থা যাচাই ক⭕রে নেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কোনও ভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেয়নি দিল্লি। তবে তালিকায় স🔯বার আগে নাম রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা, যা এ দেশে উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। ব্রিটিশ সরকার অনুমোদন দিলে তবেই এই ভ্যাক্সিন ভারতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিডিএসসিও।
Covid-19 টিকাকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ২,৩৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে রাজ্য স্তরে টিকাকরণ আধিকারিক🍌, কোল্ড চেন আধিকারিক, তথ্য, শিক্ষা ও সংযোগ কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাক্সিন ড্রাই রান সম্পর্কে যা জানা জরুরি:
১) সমগ্র প্রক্রিয়াই মহড়া বিশেষ। ভ্যাক্সিন প্রয়োগ ছাড়া সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। Co-WIN অ্যাপে তথ্য ⛄যুক্ত করা হবে, কোল্ড স্টোরেজ পরীক্ষা করা হবে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত ভ্যাক্সিন সরবারহ🔯 ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হবে। সেই সঙ্গে দেখে নেওয়া হবে টিকাকরণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও।
২) টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য যত বেশি সম্ভব কেন্দ্র ব্যবহারꦆ করা হবে। মহড়া নেওয়া হবে জেলা হাসপাতাল, সমবায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শহরের টিক🌞াকেন্দ্র, বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও।
৩) টিকাকর𝓰ণ কর্মসূচির ম🐎হড়ার উদ্দেশ্য মূলত পরিকল্পনায় সম্ভাব্য বাধা চিহ্নিতকরণ এবং প্রয়োজনে পরিকল্পনা সংস্কার করে চূড়ান্ত পর্বে প্রকল্পের নিখুঁত প্রয়োগ সুনিশ্চিত করা।
৪) টিকাকরণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্তরে কী ভাবে সুনিপুণ ভাবে কাজ হবে, তার ধারণা তৈরি করতেই সংশ্লিষ্ট কর্মী ও আধিকারিকদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ꧋এই মহড়ার ব্যবস্থা হয়েছে।
৫) ভ্যাক্সিন মহড়ায় কড়া নজরদারি ও পুনর্মুল্🎃যানের ব্যবস্থা থাকছে জেলা ও ব্লক স্তরে। মহড়া শেষ হলে স♛বিস্তারে রিপোর্ট পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে।