আপাতত দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। তা সত্ত্বেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে করোনাꦡ টিকা কেনার জন্য ফাইজার, মর্ডানা-সহ অন্য প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। সোমবার একথা জানিয়েছেন বিষয়টির স🔜ঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, কেনার জন্য সব টিকাগুলিই বিবেচনা করা হবে। তবে ফাইজার এবং মর্ডানার প্রাথমিক সাফল্যের পর ভারতের হাতে বিকল্প আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ফাইজার এবং বায়োএনটেকের তরফে জানানো হয়েছিল, করোনাভাইরাস রুখতে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডি🦩ডেট’-এর ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। কার্যকারিতার নিরিখে সেই সম্ভাব্য টিকাকে ছাপিয়ে যায় মর্ডানার ‘ভ্যাকসিন কꩲ্যান্ডিডেট’। সোমবার মার্কিন সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, সম্ভাব্য করোনা টিকা ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। আটদিনের ব্যবধানে সেই জোড়া সুখবরে আশার আলো দেখছে বিশ্ব।
তবে কেন্দ্রের করোনা টিকা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ দলের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা দামের বিষয়ে সচেতন। খরচের বিষয়টি আমাদের কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয়।’ গত মাসে মার্কিন সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োএনটেকের তরফে জানানো হয়েছে, একটি ডোজের দাম ১৯.৫০ ডলার পড়বে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার সম্ভাব্য টিকার প্রতিটি ডোজের দাম সম্ভবত দু'ডলারের কম থাকবেജ। আর প্রতিটি ডোজের জন্য ৩২ ডলার থেকে ৩৭ ডলার নেবে মর্ডানা।
বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য জানান, আপাতত ফাইজার, মর্ডানা বা রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ কেনার জন্য কোনও চুক্তি হয়নি। তবে সমস্ত সম্ভাব্য টিকার প্রস্তুতকারকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দলের এক সদস্য বলেন, ‘ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সব প্রস্তুতকারকের সঙ্গে♕ই আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। দ্রুত আমাদের মানুষকে টিকা প্রদানের জন্য পুরো বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ভারতীয় টিকাগুলি আশাব্যঞ্জক হলেও টিকার দৌড়ে এগিয়ে আছে আরও কয়েকটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট। আমরা যাবতীয় বিষয়ের উপর নজর রাখছি। তবে সাশ্রয়ী হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বুপূর্ণ।’
তারইমধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডোজের জন্য ফাইজার এবং বায়োএনটেকের সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে চুক্তি করেছে, তাও ভারতের বিশেষজ্ঞ দলের নজরে আছে বলে জানিয়েছেন এক সদস্য। সেই চুক্তি মোতাবেক আমেরিকা🍷র থেকেও কম দামে করোনা টিকার ডোজ পাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
এদিকে, করোনা টিকার জন্য নিজেদের ভাঁড়ার থেকে ইতিমধ্যে ৫০,০০০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। আর সেজন্য একেবারে উপযুক্ত হচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার সম্ভাব্য টিকা। বিশেষজ্ঞ দলের চেয়ারম্যান এবং নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল বলেন, ‘জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে যে সব টিไকা তৈরি করা হচ্ছে, তার উপর নজর রাখছি আমরা। দ্রুত যত বেশি সংখ্যক মানুষকে সুরক্ষিত এবং কার্যকরী টিকা প্রদান করা যায়, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য আছে।’ একইসঙ্গে তাঁর আশা, আগামী বছর প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যেই করোনা টিকা পেয়ে যেতে পারে ভারত।