করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে শো-কজের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে ভার♈তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডিশ-ব্রিটিশ বায়োটেক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘ভ্যাকসি꧂ন ক্যান্ডিডেট’-এর ট্রায়াল স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এমনটাই জানাল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
মঙ্গলবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, একজন স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতার কারণে ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল স্থগিত রাখা হচ্ছে। 🎉অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্র মিশেল মেক্সেলের বিবৃতি উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, টিকাকরণের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। একটি স্বতন্ত্র কমিটি ‘সেফটি ডেটা’ (সুরক্ষাজনিত তথ্য) পর্যালোচনা করবে।
ব্রিটেনের এক স্বেচ্ছাসেবকের ‘সন্দেহজনক গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া’-র জন্য কোথায় কোথায় ট্রায়াল স্থগিত রাখা হচ্ছে, সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। ফলে ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে কি🎉না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।
যদিও বুধবার দুপুরের দিকে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) তরফে বলা হয়, ‘আমরা ব্রিটেনের ট্রায়াল নিয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে আরও প♋র্যালোচনার জন্য তা স্থগিত রাখা হয়ে♌ছে এবং শীঘ্রই আবারও শুরু করার আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় ট্রায়াল চলছে এবং আমরা কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হয়নি।’
সন্ধ্যার দিꦚকে সেরামকে🐻 কড়া নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিদেশের ট্রায়াল স্থগিতের তথ্য না দেওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। যতদিন সম্ভাব্য টিকায় ক্ষতি হবে না বলে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, ততদিন কেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল বন্ধ করা হবে, তা জানতে চাওয়া হয়।
কড়া নোটিসের মুখে পড়ে সেরামের তরফে একটি বিবৃতিতে ব⛎লা হয়, ‘আমরা ডিজিসিআইয়ের নির্দেশ মেনে এগোচ্ছিলাম এবং ট্রায়াল স্থগিত রাখতে আমরা কোনও নির্দেশ পায়নি। ডিসিজিআইয়ের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও উদ্বেগ থাকল﷽ে আমরা ওদের নির্দেশ মেনে নেব এবং নির্ধারিত প্রোটোকল মেনে চলব।’