১৯ বার করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছিলেন কেরালার এক বৃদ্ধা। রীতিমত কালঘাম ছুটে গিয়েছিল চিকিত্সকদের। অবশেষে হল শাপমুক্তি। লাগাতার দুবার পরীক্ষায় নেতিবাচক ফল এসেছে কেরালার পাথানামথিট্টা জেলার এই মহিলার। রাজ্য স্💜বাস্থ্য বোর্ডের অনুমতি মিললেই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলার স্বাস্থ্য অফিসর এন শিজা।
লাগাতার ৪৫ দিন হাসপাতালে ছিলেন এই মহিলা। উনিশবার তাঁর শরীরে করোনার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু বারবার ধরা পড়ে করোনার চিহ্ন। রীতিমত চিন্ত✨ায় পড়ে গিয়েছিলেন ডাক্তাররা। করোনꦓার নিয়ম হচ্ছে কয়েকদিন অন্তর অন্তর পরীক্ষা করতে হয় এটা দেখার জন্য যে শরীরে ভাইরাস এখনও আছে কিনা।
গায়িকা কনিকা কাপুরকে ছয় বার টেস্ট করা হয়েছিল, যারপর তাঁর শরীর থেকে যায় করোনার রেশ। সেই নিয়ে অনেক হাসি-ঠাট্টা, মিম দেখা গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। 🍸সেলিব্রিটি বলেই কী তাঁর বারবার পরীক্ষা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও করেন অনেকে। কেরালার এই মহিলাকে সেরকমই উনিশবার পরীক♍্ষা করা হয়। বিশতম পরীক্ষায় হয় সাপমুক্তি।
ইতালি ফেরত বাড়ির লোকদের থেকে করোনা আক্রান্ত হন এই মহিলা। মার্চ ১০ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। মহিলার পরিবার সুপার স্প্রেডারের তকমা পায় কারণ তাঁদের থেকে অনেকে করোনা আক্রান্ত হন। কেরালার রান্নিতে এই পরিবার ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখে তিন সপ্তাহের ছুটিতে এসেছিলেন। সেখানে অনেক ফাংশনে যান তাঁরা। এক সপ্তাহ বꦆাদে তাঁদের করোনা ধরা পড়ে। পরিবারের ৯৪ বছরের দাদু ও ৮৮ বছরের ঠাকুমা বাড়ি ফিরে গেলেও ৬২ বছরের এই মহিলার ছুটি হয়নি শরীর থেকে করোনার উপসর্গ না যাওয়ায়।
অন্যদিকে কোজিকোড়ে একজন ব্যক্তি দুবাই থেকে ফেরার কমপক্ষে ২৯ দিন বাদে করোনা পজিটিভ হিসাবে চিহ্নিত হন। তার আগে শরীরে কোনও করোনার চিহ্ন ছিল না। হু এমনিতে বলে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকলেই রোগের চিহ্ন না থাকলে নি🎃রাপদ, এটা ধরে নেওয়া যায়। রাজ্য সেই সময়কাল বাড়িয়ে ২৮ দিন করেছে। সেখানে এই ভদ্রলোকের ২৯ দিন বাদে শরীরে দেখা গেল করোনার চিহ্ন।