ধ্বংসস্তূপের নীচে কি চাপা রয়েছে আগুন? ফলাফলে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, চলতি বছরে ভারতে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩০০,০০০ দেখানো হলেও আসল সংখ্যাটা সম্ভবত অনেকটা বেশি। শুধুমাত্র শহরাঞ্চলেই ১.৩৯ কোটি মানুষের মৃত্যু হতে প💖ারে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে▨র ধাক্কা কিছুটা স্থিমিত হওয়ার পর গত জুন-জুলাইয়ে দেশের ২০৩ টি শহর এবং মফঃস্বলে চালানো হয়েছিল। অনলাইন সমীক্ষায় প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতাই ছিলেন যুবক-যুবতী। বাকি উত্তরদাতাদের বয়স ১৮-২৪ বা ৪০-এর ঊর্ধ্বে। ১০,২৮৫ জনের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে যে সমীক্ষার যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে ১৭ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে চলতি বছরের শুরু থেকে তাঁদের বাড়িতে করোনায় কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের গড় সদস্য সংখ্যা ৩.৯ ধরে নিয়ে স্রেফ শহরাঞ্চলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যাটা ১.৩৯ কোটি হতে পারে বলে ইউগভ-মিন্ট-সিপিআর মিলেনিয়াল সার্ভেতে উঠে এসেছে। ২০১৮ সালের ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অনুযায়ী শহুরে এলাকায় পরিবারে গড়ে ৩.৯ জন সদস্য থাকেন। সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই সেই হিসাব করা হয়েছে। যে পরিবারে করোনায় কেউ মারা গিয়েছেন, সেই পরিবারের সর্বাধিক একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হয়েছে সমীক্ষায়।
এমনিতে এতদিন ‘বাড়তি মৃত্যু’ সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট মূলত সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বা জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করে দেওয়া হচ্ছিল। ইউগভ-মিন্ট-পলিসি রিসার্চ (সিপিআর) মিলেনিয়াল সার্ভেই প্রথম কোনও সমীক্ষা যা বৃহদাকারে দেশজুড়ে চালানো হয়েছে। যদিও সไেই সমীক্ষা শহুরে নেটিজেনদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়ে💛ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ উত্তরদাতাই জানিয়েছেন যে চলতি বছরের শুরু থেকে নিজের পরিবার বা পরিচিত মহলে করোনায় কমপক্ষে একজনের প্রাণহানি হয়েছে। বড় বড় শহরগুলির মধ্যে দিল্লি এবং হায়দরাবাদে মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি ধরা পড়েছে।