করোনাভাইরাস টিকা কি এসে গিয়েছে? সেই টিকা কি প্র꧅য়োগ করা হচ্ছে? নয়া বছরের পয়লা দিন থেকে এমনই প্রশ্ন উঠছে। যদিও দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া মহড়ার (ড্রাই রান) দিন সকালে টিকা সংক্রান্ত কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী 🌳হর্ষবর্ধন।
নয়া বছরের শুরুতেই কার্যত হাতের মুঠোয় এসে গিয়েছে করোনাভাইরাস টিকা। তার আগে দেশজুড়ে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া চলছে। পশ্চিমবঙ্গের আমডাঙা, মধ্যমগ্রাম এবং দত্তাবাদের তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও মহড়া চালানো হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী মহড়ায় অংশগ্রহণ করবেন। নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস টিকাকরণ পর্বের টিকা বণ্টনের সমস্ত প্ꦿরস্তুতি কতটা হয়েছে, তা পরীক্ষার জন্য সেই ‘ড্রাই রান’ করা হয়। টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় কোনও খামতি আছে কিনা, কোথায়-কী সমস্যা হচ্ছ, সেই ཧসংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় দেখা হবে। একেবারে যেভাবে টিকা প্রদান করা হবে, সেরকমই কর্মযজ্ঞ হবে। শুধুমাত্র আসল টিকা প্রদান করা হবে না।
সেই ‘ড্রাই রান’-এর পর্যালোচনায় শনিবার সকালে নয়াদিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে যান হর্ষবর্ধন। পরে তিনি বলেন,🍸 ‘মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। টিকার সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার উপর আমরা অগ💜্রাধিকার দিয়েছি। পোলিয়োর সময় বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছিল। কিন্তু মানুষ টিকা নিয়েছেন এবং পোলিয়ো-মুক্ত হয়েছে ভারত।’
একইসঙ্গে জানান, গত ২৮-২৯ ডিসেম্বর চার রাজ্যে (অসম,ꦑ অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত এবং পঞ্জাব) যে ‘ড্রাই রান’ চালানো হয়েছিল, সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে শনিবারের মহড়ার নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। তা সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। সেই নয়া নির্দেশিকায় মেনেই চলছে করোনা টিকার মহড়া। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র আসল টিকা প্রদানের পরিবর্তে প্রতিটি উপায় মেনে চলতে হবে।’