বিজেপিকে রুখতে হবে। আর এই লক্ষ্যে ধর্মনিরপেক্ষ জোট গড়তে হবে বলে উল্লেখ করা হল সিপিএমের আসন্ন পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক খসড়া প্রস্তাবে। দিল্লিতে দলের সদর দফতরে এই খসড়া প্রকাশ করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। দলের ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক খসড়ায় বাম দলের সাফ বার্তা, ‘বৃহত্তর ধর্মনিরপেক্ষ 🌠ও গণতান্ত্রিক জোট গড়তে চায় সিপিএম।’ তবে দলের বামপন্থী সত্তা এর জন্য ত্যাগ করতে রাজি নয় দল। এই আবহে কেরলে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় নামার ইঙ্গিত দিল ൲সিপিএম।
সিপিএমের খসড়ায় কোথাও কংগ্রেসের নাম না থাকলেও ওয়𓄧াকিবহল মহলের মত, কংগ্রেস ছাড়া বৃহত্তর জোটের কথা বোঝাচ্ছে না সিপিএম। ঐতিহাসিক ভাবে কংগ্রেসকে ‘পুঁজিবাদী’ দল বলে আখ্যা দিয়ে থাকলেও তাদের ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ নিয়ে সিপিএমের মনে কোনওদিন সংশয় ছিল না। আর সম্ভবত কংগ্রেস নিয়েই সিপিএম বিজেপি বিরোধিতার পরবর্তী নীলনকশা তৈরি করবে। বিজেপি-কে হটাতে কংগ্রেসের মতো জাতীয় দলের সঙ্গে জোটে যে সিপিএমের আপত্তি নেই, তা বিহার, বাংলা, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে দেখা গিয়েছে। যদিও কেরল, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে যেখানে সিপিএমের ভিত এখনও মজবুত, সেখানে তারা একলা চলার নীতিই গ্রহণ করেছে। বৃহত্তর জোট গড়লে এই সব রাজ্যেও সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে হাঁটে কিনা, তা নিয়ে কৌতুহল অনেকের মনেই।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল থেকে কেরলের কান্নুরে শুরু হচ্ছে সিপিএমের ২৩তম পার্টি কংগ্রেস। পার্টি কংগ্রেস চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। সাম্প্রদায়িকতাই যে দেশের সবথেকে বড় সমস্যা এবং বিজেপি যে এই সাম্প্রদায়িকতাকেই হাতিয়ার করে দেশ বিভাজনের কাজ করে আসছে, এই কথা বাম দলগুলি বারবার বলে এসেছে। এই আবহে জোটের কথা বললেও সিপিౠএমের সাফ বার্তা, রাজনৈতিক নীতির সঙ্গে দল আপস করবে না। আর তাই খসড়াতে বলা হয়েছে, শ্রেণিসংগ্রাম ও গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দলের স্বাধীন সত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে আগামীতে।