মৃত্যুচিন্তা করো না। বর্তমানে বাঁচতে শেখ। 'ম🥂োটিভেশনাল' বক্তারা তো এমনটা বলেনই। সেটি সত্যি। কিন্তু বাস্তবটাও আমাদের বুঝতে হবে। আপনার সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রদানের প্রক্রিয়ার🐈 সরলীকরণ করে রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে আগে থেকে সেটি করে রাখাটাই শ্রেয়। বিশেষত একাধিক উত্তরাধিকারির সম্ভাবনা থাকলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই উইল করে রাখা উচিত্। এতে ভবিষ্যত প্রজন্মে বা আপনার স্বামী/স্ত্রীর সুবিধা হবে।
কিন্তু উইল ঠিক কীভাবে করতে হয়? সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। সিনেমা-নাটকে অনেকেই দেখেছেন, প্রয়াত ব্যক্তি কোনও কা🐈গজে নিজের সম্পত্তির উত্তরাধিকার স্থির করে দিয়ে গিয়েছেন।
তবে সাদা কাগজে মনের কথা লিখে রাখলেই তা উইল হ🅷য়ে যায় না। সেই কাগজের সত্যতা বিচার করা সম্ভব নয়। ফলে আইনি পন্থাতেই উইল বা🧔নানো প্রয়োজন।
কীভাবে উইল বানাবেন?
এই বিষয়ে জানালেন সাইরিল অমরচাঁদ মঙ্গলদাসের আইন বিশেষজ্ঞ রিষভ শ্রফ। ধাপে ধাপে, খুব সহজ প্রক্রিয়ায় পুরো বিষ๊য়টি ব্যাখা করলেন তিনি।
কোথায় উইল লিখবেন ঠিক করুন
- একটি সাদা কাগজে উইল বানাবেন।
- নির্দিষ্ট আইনি পন্থায় লিখতে হবে।
কোথায় উইল লিখবেন ঠিক করুন
- প্রথমেই নিজের সমস্ত সম্পত্তির একটি তালিকা তৈরি করুন।
- কিন্তু সম্পত্তির দাম উল্লেখ করার কোনও প্রয়োজন নেই।
- আপনার নিজের মালিকানা আছে, এমন জিনিসই লিখুন।
উত্তরাধিকারীদের তালিকা তৈরি করুন
- প্রথমেই সুবিধাভোগী, উত্তরাধিকারীদের তালিকা বানান।
- আপনার অবর্তমানে কে সুবিধাভোগী, উত্তরাধিকারীদের 'অভিভাবক' হবেন, সেটিও স্থির করুন।
- এরপর আপনার কোন সম্পত্তি, কে পাবেন- সেটি লিখতে শুরু করুন।
দুই জন সাক্ষী নির্বাচন করুন
- আপনার পরিচিত কোনও চিকিত্সক আপনার এক নম্বর সাক্ষী হতে পারেন।
- দ্বিতীয় জন আপনার কোনও নিকট নিরপেক্ষ ব্যক্তি, আইনজীবী হতে পারেন।
উইলে সই করুন
- আপনাকে এবং সাক্ষীদের সইসাবুদ করতে হবে।
- আপনার সাক্ষীদের যে আপনার উইল পড়তে দিতে হবে, জানাতে হবে, এমন কোনও মানে নেই।
- চিকিত্সক যেন সই করার সময়ে আপনার বর্তমান মানসিক, শারীরিক সুস্থতার বিষয়টিও উইলে উল্লেখ করে দেন।
- কম্পিউটারে উইল লিখছেন? সেক্ষেত্রে প্রিন্ট আউট বের করে হাতে করে সই করুন। ডিজিটাল সই চলবে না কিন্তু!