‘কান্না হল মনোভাবের আত্মপ্রকাশ। এটাকে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের ভেঙ্গে পড়ার চিহ্ন হিসেবে দেখা উচিত নয়।’ এমনটাই মত বিখ্যাত প্রসাধনী সংস্থা ‘সুগার’-এর প্রধান কর্তা বিনীতা সিং। তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, ‘অনেক মহিলার জন্যই পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি হল কান্না। এবং এটি আ🍬মাদের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে এবং শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে সহায়তা করে।’
নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলের বায়োতে বীনিতা লেখেন, ‘কর্মক্ষেত্রে কান্নাকাটির বিষয়টিকে স্বাভাবিক করা হোক। এটি মত প্রকাশের মাধ্যম, ভেঙে পড়া নয়। তাই অনুগ্রহ করে 💫এতে হতচকিত হবেন না। দয়া করে আমাদের ফিডব্যাক দেওয়া বন্ধ করবেন না। আমাদের চোখের জল দেখে অনুগ্রহ করে এটা মনে করবেন না যে আমাদের সঙ্গে অন্যরকম ভাবে আচরণ করা দরকার। এটি (কান্না) যোগাযোগের আরও একটি রূপ। আমরা এটি নিয়ে আর বিব্রত বোধ করতে চাই না। এবং আমরা সাধারণত এটাও চাই না যে আপনি এটি (কান্না) সম্পর্কে খুব বেশি সহানুভূতিশীল হন।’
তিনি উদাহরণ তুলে ধরে লেখেন, ‘অনেক সময়ই আমার সংস্থার কর্মীরা এসে আমাকে বলে যে কোনও মহিলাকে চাকরি দেওয়া খুব কঠিন। কারণ তাদের কোনও কিছু নিয়ে বলা হলেই মহিলারা কেঁদে ফেলেন। এতে বিব্রতবোধ করেন অন্যরা।’ তিনি এই প্রসঙ্গে ‘দ্য বারবার শো উইথ শান্তনু’-এ বলেন, ‘আমি আমার অফিসের অনেক উচ্চ পদস্থ কর্তাদের এটা বুঝিয়েছি যে কোনও মেয়ের চোখের কোণে অশ্রু রয়েছে মানে এটা একটি প্রতিক্রিয়া মাত্র। কান্না মানেই ভেঙে পড়া নয়। কোনও পুরুষ কর্মীকে কোনও ফিডব্যাক দিলে হয়ত তিনি সেটার বিরোধ করবেন বা চুপ করে থাকবেন। সেটাও একটা প্রক্রিয়া। এবং কান্নাও স্বাভাবিক। এটাও একটা প্রক্রিয়া।’ তিনি নিজের উদাহরণ দিয়েও বলেন, ‘একবার আমি স্টেজে উঠে কথা বলতে গিয়ে ভেঙে পড়েছিলাম। তবে কান্নাকাটি করে ১৫ মিনিট পর ফের স্টেজ𝄹ে উঠে আমি আমার বক্তব্য পেশ করি। সেখানে ২৭০ জন উপস্থিত ছিলেন। আমি গর্বিত যে, আমি একজন নেতা হিসেবে নিজের দুর্বলতা তাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছিলাম।’