শুক্রবার রাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল 'তাউটে'। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর তা মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভারত🍸ের পশ্চিম উপক🌠ূলে আছড়ে পড়তে পারে।
মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় লাক্ষাদ্বীপ এবং আরব সাগরের পূর্ব-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় 'তাউটে'। তা কেরালার কান্নুরের থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে ২৯০ কিলোমিটার, গুজরাতের ভেরাবলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ১,০১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা ক্রমশ বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সক♑ালে গুজরাত উপকূলের কাছে꧃ পৌঁছাবে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫-১৪৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। তার আগে সোমবার রাত ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ঝড়ের তীব্রতা সবথেকে বেশি থাকবে। সেইসময় ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার হতে পারে।
'তাউটে'-এর দাপটে আজ (শনিবার) থেকেই লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, তামিলনাড়ুর ঘাট জেলা, কর্নাটকের উপকূলবর্তী এলাকা ও ঘাট জেলার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল, কঙ্কন ও গোয়া উপকূল, গুজরাত এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় ব𝔉র্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের আরব সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকা🥂রগুলি। নীচু এলাকায় বসবাসকারী ⭕পরিবারগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উপকূলবর্তী এলাকায় যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আধিকারিকদের তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। প্রস্তুত আছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ডুবুরি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিকেও যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।