অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তাউটে’-র দাপটে রীতিমতো বিপর্যস্ত গোয়া উপকূল। প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে পশ্চিম ভারতের রাজ্যের একাংশ। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমদিকে গুজরাত উপকূলের অগ্রসর হচ্ছে। বিকেলের দিকে ‘তাউটে’-র কেন্দ্র অবস্থান করবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম গোয়ায়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকেই গোয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সঙ্গে তীব্র বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। তার জেরে উপকূলবর্তী শহরের বিভিন্ত প্রান্তে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। যান চলাচন কার্যত থমকে গিয়েছে। ঝড়ের দাপটে ভাস্কো দ্য গামায় গাছ উপড়ে এসে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে আপাতত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি। গোয়ার বিদ্যুৎমন্ত্রী নীলেশ কাব্রাল জানিয়েছেন, ঝোড়ো হাওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। তার জেরে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দিনভর গোয়ায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সঙ্গে চলবে বৃষ্টি। মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবার সাড়ে আটটায় সময় পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপর অবস্থান করছে 'তাউটে'। আপাতত সেটি গোয়ার পানজিমের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ১২০ কিলোমিটার, গুজরাতের ভেরাবলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৬৬০ কিলোমিটার এবং মুম্বইয়ের দক্ষিণে ৪২০ কিলোমিটারে দূরে অবস্থিত। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা ক্রমশ বাড়িয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। মঙ্গলবার সকালে পোরবন্দর এবং মাহুভার মাঝখান দিয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় গুজরাত উপকূল পার করবে। সোমবার ভোর থেকে মঙ্গলবার ভোট পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।সেই পর্যবেক্ষণের ঘণ্টাতিনেক পরে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়েছে ‘তাউটে’। ঘূর্ণিঝড়ের চোখের প্রস্থ মোটামুটি চার কিলোমিটার। সেখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। মেঘের প্রাচীরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৯৩ ডিগ্রি নীচে।