জীবন একটাই। আনন্দে, ভালবাসায় তা কাটানো উচিত্। কিন্তু সমাজের চাপে মহিলাদের পক্ষে অনেকক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না। বিশেষত বিবাহবিচ্ছেদ বা স্বামীহা🤪রা মহিলাদের পক্ষে জীবন থেকে যে প্রেম, ভালবাসা শব্দটাই মুছে যায়। অথচ ভালবাসার, জীবনকে ১০০ শতাংশ বাঁচার অধিকার ওঁদেরও আছে। এ൲কটি ছোট্ট টুইটের মাধ্যমে যেন এমনই হাজার হাজার কথাই এল উঠে।
'মায়ের বিয়ে হচ্ছে, আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না,' টুইট করেন এক টুইটার ব্যবহারকারী। সঙ্গে মায়ের মেহেন্দী পরার ছবি। মায়ের এই সিদ্ধ꧑ান্তে মেয়ের খুশি স্পষ্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে শুভকামনায় ভরিয়ে দিয়েছেন মা-মেয়েকে।
পুরো ঘটনাটি টুইটারে শেয়ার করেছেন alphaw1fe নামের এক ব্যবহারকারী। 'দ্য ট্রিবিউন'-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোরী জানিয়েছে, তাঁর মা ১৫ বছর একা থাকার পর আবার বিয়ে করছেন। মেয়ে হিসেবে এটা তাঁর জন্য খুবই আনন্দের সময়। তিনি জানান, মা ভালোবাসার জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। সমাজের ভ্রুকুটি, তির্যক মন্তব্যের উর্ধ্বে মেয়েদের নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়াও যে কতটা কঠিন হতে পারে, তা-ই 💮যেন উঠে এসেছে তার কথায়।
ওই কিশোরী জানিয়েছেন, মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর মায়ের। ဣযাঁর সাথে তাঁর মায়ের বিয়ে হয়েছিল, তিনি মায়ের স্কু✱লের ফিও দেননি। ফলে পড়াশোনাও থমকে যায় তাঁর মায়ের। শুধু তাই নয়, তাঁর বয়স যখন মাত্র ২ বছর, তখনই দুজনকেই ছেড়ে বিয়ে ভেঙে চলে যায় তাঁর বাবা।
কমেন্টে অনেকেই পরিচয় গোপন করে নিজেদের পরিস্থিত🌠ি জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, তাঁদের মা/বাবা দাম্পত্য জীবনে খুশি নয়। কিন্তু সমাজ কীভাবে দেখবে সেই ভেবে জোর করে একসঙ্গে আছেন। কেউ আবার সিঙ্গেল থাকা সত্ত্বেও সমাজের ভয়ে ভালবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারেন না।
সত্যিই, ২০২২-এ এসেও কি আমরা এসবের উর্ধ্বে, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে পারি না? এই প্রশ্নই এখন 🦄করছেন অ♊নেকে।