গত ১২ অক্টোবর স্পাইসজেটের হায়দরাবাদগামী বিমানের 🎐ককপিট এবং কেবিন হঠাৎই ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছে, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে জ্বালানি তেল ঢুকে যাওয়াতেই এই বিপত্তি ঘটেছিল। এই আবহে স্পাইসজেটের সমস্ত কিউ৪০০ বিমানের জ্বালানি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে বিমান সংস্থাকে। সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ডিসিজিএ।
বুধবার রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ১১টার দিকে এই গোয়া-হায়দরাবাদ উড়ানটি অবতরণ করে। সমস্ত যাত্রীদেরই নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্রে খবর, এই ধোঁয়ার ফলে এক মহিলা যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও এয়ারলাইন্স আধিকারিকরা তা অস্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, ওই মহিলা যাত্রী বিমান থেকে বের হওয়ার সময়ে সামান্য আঘাত প🍸েয়েছেন। এই ঘটনার জেরে প্রায় নয়টি উড়ানে ไবিলম্ব হয়। জানা গিয়েছে, বিমানের একটি ইঞ্জিন থেকে এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমে তেল নিঃসরণ হচ্ছিল। সম্ভবত সেটাই এই ধোঁয়ার কারণ।
উল্লেখ্য, একের পর এক বিপত্তির জেরে এর আগে স্পাইসজেটের হাতে নোটিশ ধরিয়েছিল ডিজিসিএ। স্পাইসজেটের সূচি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল জুন মাসে। প্রসঙ্গত, এই নোটিশ পাঠানোর আগের ১৭ দিনে আটবার বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিল স্পাইসজেটের বিমান। পরে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয় গত সেপ্টেম্বরে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন জানায়, আগামী ২৯ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত সর্বাধিক ৫০% বিমান ওড়াত🔯ে পারবে স্পাইসজেট। এই সময়কালে ডিজিসিএ-এর কাছে স্পাইসজেটকে প্রমাণ দিতে হত যে তারা নির্বিঘ্নে উড়ান পরিচালনা করতে সক্ষম। আর এরই মাঝে এই বিপত্তি ঘটে।