আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গ𝄹রাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে কেনেথ স্মিথ নামে এক হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল সম্প্রতি। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে প্রাণঘাতী ইনজেকশন প্রয়োগ করে প্রথম দফায় কেনেথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সচেষ্ট হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ পরে অবশ্য ইনজেকশন-এর মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ আসে। এরপর আলোচনা মাধ্যমে ঠিক হয় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করꦓা হবে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে। কেনেথ এক মহিলাকে হত্যা করেছিল তার স্বামীর নির্দেশে।
এই বিষয়ে কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাত্রি ৮টা ২৫মিনিটে মৃত বলে ঘোষণা করা হ🐽য়েছে কেনেথকে। মৃত্যুদণ্ডের দায়িত্বে ছিলেন দুই কর্মী। স্টেচারে শুয়ে একটি বিশেষ মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয় কেনেথকে। এই মাক্স পরায় অক্সিজেন চলাচলের কোন সুযোগ ছিল না। পাঁচ জন সাংবাদিক এই মৃত্যু কার্যকরের প্রক্রিয়াটি নিজ চোখে দেখেন। তারা কাঁচের দেওয়ালের ওপাশ থেকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি দেখেন। এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ‘নাইট্রোজেন প্রয়োগের পরও কয়েক মিনিট পর্যন্ত মৃতের জ্ঞান ছিল। এরপর সে কাঁপতে থাকে এবং দু মিনিট পর্যন্ত তিনি স্ট্রেচারের উপর গড়াগড়ি করতে থাকে। এরপর কয়েক মিনিট ধরে তাকে গভীর নিঃশ্বাস নিতে দেখা যায়। তার শ্বাসের গতি ধীরে ধীরে কমে আসে এবং নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, মাস্ক দিয়ে নাইট্রোজেন দেহে সরবরাহ শুরুর আগে স্মিথ শেষবারের মতো বক্তব্য রাখেন। কেনেথ বলেন, ‘আজ রাতে আলাবামা কর্তৃপক্ষ মানবিকতার পাঠকে অস্বীকার করল।’ ঘটনাস্থলে স্মিথের স্ত্রী এবং অন্য স𓆉্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্দেশে স্মিথ বলেন, ‘ভালোবাসা, শান্তি আর জ্যোতি নিয়ে আমি পৃথিবী ছাড়ছি। তোমাদের সবার জন্য ভালোবাসা থাকল।’
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর আলাবামার কারেকশনস কমিশনার জন হ্যাম একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্মিথ য🧸ে স্ট্রেচারের ওপর গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন, সেটা মানবিক ছিল কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে হ্যাম বলেন, ‘যতটা বেশি সময় পর্যন্ত পারা যায়, স্মিথ তার শ্বাস ধরে রাখতে চেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি কিছুক্ষণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধতাগুলোর বিরুদ্ধে লড়েছেন। তবে এটি যেহেতু ইচ্ছার বিরুদ্ধে চালানো একটি প্রক্রিয়া এবং এ প্রক্রিয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাই এগুলো সব প্রত্যাশিতই ছিল।’ তবে স্মিথের পরিবার ও উকিলদের দাবি, ২২ মিনিট জীবিত🐬 ছিলেন তিনি কার্যত গ্যাস চেম্বারে। কথা ছিল কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তিনি জ্ঞান হারাবেন ও কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি বলে তাদের দাবি। যাইহোক,বিশ্ব এই প্রথম সাক্ষী রইল নাইট্রোজেনের সাহায্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মত ঘটনার। ভবিষ্যতে এভাবে আরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার।