করোনা আবহে দেশকে রক্ষা করতে এবার ময়দানে নামছে সেনা। প্রতিক্ষা খাতের পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড করোনা পরিস্থিতিতে দেশকে সাহায্য করতে কোনও কশুর ছাড়ছে না।প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড বর্তমানে তাদের কার্য ক্ষমতার ৬০ শতাংশ খরচ করছে করোনা যুদ্ধের জন্য। এছাড়া ওবিএফ-এর ১৪০৫টি শয্যার মধ্যে ৮১৩টি সাধারণ মানুষের জন্য রয়েছে। দেশের ২৫টি স্থানে ওবিএফ করোনা চিকিত্সা প্রদান করছে সাধারণ মানুষকে। মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশাতে সাধারণ মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে জিততে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওবিএফ।এছাড়া হ্যাল-এর তরফেও লখনউতে ২৫০টি শয্যা সেট করছে সাধারণ মানুষের জন্যে। এছাড়া বেঙ্গালুরুতেও দুটি পৃথক কোভিড সেন্টার তৈরি করেছে তারা। একটিতে ২৫০, অপরটিতে ১৮০টি শয্যা রয়েছে। ডিআরডিও ৬টি শহরে ৩১০০ করোনা রোগীর চিকিত্সার ভার নেবে।এদিকে শুক্রবারই সিঙ্গাপুর থেকে ক্রায়োজেনিক অক্সিজেনের চারটি কনটেনার এসে পৌঁছায় পানাগড়ে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। বায়ুসেনার বিশেষ বিমানটি সিঙ্গাপুরের ছাঙ্গি বিমানবন্দর থেকে আজ সকালে রওনা দিয়েছিল দেশের উদ্দেশে।দেশজুড়ে অক্সিজেনের হাহাকার পড়ে গিয়েছে। সবথেকে করুণ অবস্থা রাজধানীতে। কোথাও কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি। কোথাও আবার সময়টা আরও কম। অক্সিজেনের জোগান চালু রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে অক্সিজেন আমদানিও করা হচ্ছে।