বে✅ড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। হাসপাতালের শয্যার জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। অক্সিজেনের আকাল দেখা দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে একটি পোর্টাল শুরু করল দিল্লি সরকার। দু'ঘণ্টা অন্তর 🗹সেই পোর্টালের তথ্য আপডেট করা হবে।
রবিবার অক্সিজেন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বরং দাবি করেন, কেন্দ্র যথেষ্ট সাহায্য করছে। কেজরি বলেন, ‘অক্সিজেনের তীব্র আকালের মুখে পড়েছে দিলꦺ্লি। প্রতিদিন আমাদের ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের প্রয়োজন আছে। সম্প্রতি জোগান বৃদ্ধির পরও বর্তমানে ৪৯০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পাচ্ছে শহর। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় সরকার যে পরিমাণ (অক্সিজেন) বরাদ্দ করছে, তা আমাদের কাছে আসছে না। গতকাল (শ♉নিবার) আমরা মাত্র ৩৩৫ মেট্রিক টন পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র খুব সাহায্য করছে। আমাদের সাহায্য করার জন্য অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও চিঠি লিখেছি। এখন যে আকাল তৈরি হয়েছে, তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মিটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করছি।’
কেজরিওয়াল জানান, আপ♔াতত দিল্লিতে অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করাই হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য দু'ঘণ্টা অন্তর সব হাসপাতাল, অক্সিজেন উৎপাদক এবং অক্সিজেন সরবরাহকারীদের সরকারকে তথ্য পাঠাতে হবে। কত অক্সিজেন আছে, কোন কারখানা থেকে কত অক্সিজেন গিয়েছে, দিল্লিতে পৌঁছাবে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে বলে জানিয়েছেন কেজরি। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি জটিল। তবে এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা আমরা কাটিয়ে উঠব।’
তারইমধ্যে করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে না আসায় লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে দিল্লি সরকার।🅺 কেজরি জানান, করোনা এখনও ছড়াচ্ছে। গত সপ্তাহে পজিটিভিটি রেট (সংক্রমণের হার) ৩৬ শতাংশের মতো ছিল। রবিরা তা কমে ২৯ শতাংশের মতো হয়েছে। তাও এখনও নজরদারির প্রয়োজন আছে। সেজন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ৩ মে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত করা হয়েছে।