স্পাইসজেট এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম বন্ধ করা হোক। সোমবার এমন দাবি তোলা এক জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। বিমানে সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে এই পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।আইনজীলী রাহুল ভরদ্বাজ এবং তাঁর চার বছরের ছেলে আবেদন দায়ের করেছিলেন। তাতে বেসরকারি বিমান সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কমিশন গঠনের আর্জি করা হয়। এর জন্য আদালত কর্তৃক বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক, ডিজিসিএ এবং অন্যান্যদের নির্দেশনা জারি করার অনুরোধ করা হয়। সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ না করা পর্যন্ত স্পাইসজেট এয়ারলাইন্সের অপারেশন বন্ধ রাখা হোক, দাবি করা হয় পিটিশনে। সোমবার আবেদনের শুনানি করেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।এএকইসঙ্গে, ত্রুটিপূর্ণ বিমানের যাত্রীদের ন্যায্য চার্জ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। বলা হয়, যাঁরা যাত্রার সময় প্রাণের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন এবং মৃত্যুর ভয়ে মানসিক আঘাত পেয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিক স্পাইসজেট।এ বিষয়ে, সম্প্রতি ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) জানায়, বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে প্রতিদিন গড়ে এমন ৩০টি ঘটনা ঘটে। তবে এর মানে এই নয়, যে তাতে সুরক্ষার অভাব হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো নিরাপত্তাগত প্রভাব নেই। বরং, তারা একটি শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থারই লক্ষণ। সাম্প্রতিক অতীতে স্পাইসজেটের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ গত ৫ জুলাই স্পাইসজেটের এক উড়ানে, বিমান টেক অফের পর পরই পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তারপরেই বিমানটি পাটনায় ফিরে আসে।