বিগত এক বছরেরও বেশি সময় যাবত দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভ জারি রেখেছেন পঞ্জাব ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার সহ একাধিক দাবি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে সিঙ্ঘু, টিকরির মতো জাযগাগুলিকে দুর্গে পরিণত করেছিলেন আন্দোলনরত কৃষরা। তবে এরই মাঝে এই আন্দোলনে খালিস্তানিপন্থীদের ঢুকে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই আবহে কৃষক আন্দোলন ঘিরে নিরাপত্তার উপর বিশেষ জোর দিতে হয়েছিল দিল্ল✤ি পুলিশকে। আর এই খরচ সংক্রান্ত একটি🅷 প্রশ্নের জবাবে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানালেন, কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে দিল্লি পুলিশ বিগত একবছরে ৭.৩৮ কোটি টাকা খরচ করেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান যে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিও কৃষক আন্দোলন নিয়ে তত্পর ছিল। দিল্লির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা এই বিষয়ে নজর রাখে। কৃষকদের মৃত্যুর বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। এই ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে🧜 এই তথ্য কাজে লাগানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, দিল্লি সংলগ্ন গাজিপুর, টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভ চলেছে বিগত একবছর ধরে। দিল্লি পুলিশ পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে আসা বিক্ষোভকারী কৃষকদের আন্দোলনের ♚সময় অতিতত্পর ছিꦓল। রাজধানীতে যাতে কৃষকরা প্রবেশ করতে না পারে, সেই বিষয়ে বিশেষ নজর ছিল পুলিশের। তাই ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল সংশঅলিষ্ট সীমানা এলাকাগুলিতে। পাশাপাশি কংক্রিটের দেয়াল স্থাপন করা হয়েছিল এবং মাটিতে পেরেকও পুঁতে রাখা হয়েছিল।
এদিকে দীর্ঘদিন পর কৃষকদের আন্দোলন🎶 বন্ধের ইঙ্গিত মিলেছে। জানা গিয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সহ একাধিক দাবির ক্ষেত্রে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তাছাড়া খড় পোড়ানো ইস্যুতে কেন্দ্র কৃষকদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবে কেন্দ্র। পাশাপাশি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে থাকা পুলিশ কেস প্রত্যাহার করার বিষয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে কেন্দ্র নাকি শর্ত রেখেছিল যে আগে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে হবে তারপর মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তবে এই বিষয়টি মেনে নেননি আন্দোলনরত কৃষকরা।