নয়া বছরের প্রথম দিনেই প্রবল শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে নয়াদিল্লি। আজ (শুক্রবার) রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। যা গত ১৪ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সঙ্গে এতটাই কুয়াশার দাপট ছিল যে দৃশ্যমানতা ‘শূন্য’ মিটারে (০-৫০ মিটার) নেমে যায়। তার ফলে ব্যাহত হয়েছে গাড়ি চলাচল।সফদরজং কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর থেকে তাপমাত্রা আর এত নামেনি। গত বছর জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৪ ডিগ্রি ছিল বলে আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। এবার তা একধাক্কায় কমে গিয়েছে। তবে মৌসম ভবন আঞ্চলিক অঞ্চলের প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আগামিকাল (শনিবার) থেকে বুধবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি ‘গভীর’ পশ্চিমী ঝঞ্জার প্রভাব পড়বে। তার জেরে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে (৪-৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ বেড়ে আট ডিগ্রি হতে পারে।হাড়কাঁপানো ঠান্ডার পাশাপাশি ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছাদনে ঢেকে আছে দিল্লি। সকাল ছ'টায় সফদরজং এবং পালামে ‘অতি ঘন’ কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা ‘শূন্য’ মিটারে নেমে যায়। তার জেরে ব্যাহত হয়েছে গাড়ি চলাচল। কয়েক হাত দূর থেকে কার্যত একে অপরকে দেখা যাচ্ছে না। মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যখন দৃশ্যমানতা শূন্য থেকে ৫০ মিটারে নেমে যায়, তখন ‘অতি ঘন’ কুয়াশা পরিস্থিতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।